জুলাই আন্দোলনে শহীদদের নামে কোরবানি দিলেন মঈন খান 

জুলাই-আগস্টে গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের নামে পশু কোরবানি দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড.আবদুল  মঈন খান। 

শনিবার (৭ জুন) সকালে ঘোড়াশাল পৌর ঈদগাহ মাঠে ঈদের নামাজ আদায় শেষে পলাশ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কোরবানি করা হয়। এ ছাড়া সামর্থ্য অনুযায়ী জুলাই-আগস্টে শহীদদের নামে পশু কোরবানি দেওয়ার জন্য বিএনপির নেতাকর্মীদের নির্দেশ প্রদান করেন মঈন খান।

এ সময় তিনি বলেন, কারবালায় অনেকেই শহীদ হয়েছেন। তারা জিহাদ ও ত্যাগ-কোরবানির যে চেতনা সৃষ্টি করে গেছেন, উজ্জীবন সৃষ্টি করে গেছেন, তা কেয়ামত পর্যন্ত মুমিনদের জন্য অনুপ্রেরণার স্মারক হয়ে থাকবে।

তিনি আরও বলেন, একইভাবে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার কবল থেকে দেশকে বাঁচাতে নিজের বুকের তাজা রক্ত দিয়ে শাহাদাত বরণ করে নিয়েছে ২০২৪ সালের জুলাই-অগাস্টের শহীদরা। তারা বাংলাদেশের ইতিহাসে এক নতুন চেতনার দৃষ্টান্ত করে দেশের মানুষের জন্য উজ্জীবন সৃষ্টি করে গেছেন। বাংলার মানুষ আজীবন তাদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ রাখবে।  

মঈন খান বলেন, পবিত্র ঈদুল আজহার দিনে আমরা যেভাবে পশু কোরবানি দিয়ে ত্যাগের মহিমায় নিজেদের উজ্জীবিত করি। ঠিক একইভাবে এই ত্যাগ থেকে শিক্ষা নিয়ে ও জুলাই-আগস্টে শহীদদের আত্মত্যাগের কথা স্মরণে রেখে দেশে সততা ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার রাজনীতি করতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে ন্যায় ও সততা ব্যতীত পৃথিবীর কোনো দেশ উপরে উঠতে পারে না।

তিনি বলেন, যারা অন্যায়-অপরাধ করার পরিকল্পনা করছেন এবং যারা অন্যায়কারী রয়েছেন তাদের ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত। তিনি শুধু ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হননি, একমাত্র বোনকে নিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। অপরাধীদের এভাবেই পালাতে হয়। অপরাধী বা স্বৈরশাসক যতই ক্ষমতাধর হোক তাদের পতন নিশ্চিত।

আরটিভি/এফএ