শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫ , ১১:১২ পিএম
ঈদুল আজহার পর নওগাঁয় মৌসুমি ও প্রাতিষ্ঠানিক চামড়া ব্যবসায়ীরা গরুর চামড়া কিনে পড়তে হচ্ছে লোকসানে। বাজারে প্রতি পিস গরুর চামড়া সর্বনিম্ন ৩০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অথচ স্থানীয় মৌসুমি ব্যবসায়ীরা চড়া দামে চামড়া কিনলেও বিক্রির সময় পাচ্ছেন না ন্যায্য দাম। অন্যদিকে খাসি ও ভেড়ার চামড়ার কোনো দামই মিলছে না—সেগুলো থাকছে অবহেলায়।
শনিবার (৭ জুন) দুপুরে জেলার চামড়া গুদাম এলাকায় চামড়া কেনাবেচার খবর সংগ্রহ করার সময় এ সকল তথ্য জানান ব্যবসায়ীরা।
জেলা চামড়া ব্যবসায়ী গ্রুপের সদস্য মাহাবুব আলম মিলন জানান, চামড়ার গুণগত মান বিবেচনায় তারা দাম নির্ধারণ করছেন। অধিকাংশ চামড়ায় রয়েছে ‘ল্যাপিং ডিজিজ’ বা স্থানীয়ভাবে পরিচিত ‘গরুর করোনা’ রোগের চিহ্ন, যা চামড়ার মান ক্ষতিগ্রস্ত করছে। ফলে বাজারে সেই চামড়ার চাহিদা কম এবং দামও অনেক নিচে নেমে এসেছে।
নওগাঁ সদর উপজেলার দুবলহাটি ইউনিয়নের মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ী মহাতাব হোসেন জানান, তিনি ২ পিস গরুর চামড়া ১ হাজার ৩০০ টাকায় কিনে বিক্রি করেছেন মাত্র ৩০০ টাকায়। এতে প্রতি পিসে গড়ে প্রায় ৫০০ টাকা লোকসান গুনতে হয়েছে। এবার ঈদে মোট ৭ পিস চামড়া কিনে দেড় হাজার টাকার ক্ষতির মুখে পড়েছেন তিনি। আগের বছর এই ব্যবসায় লাভের মুখ দেখলেও এবার পরিস্থিতি সম্পূর্ণ উল্টো।
অপরদিকে, আরেক মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ী ইউসুফ আলী জানিয়েছেন, এলাকা থেকে চামড়া গাড়িতে করে নিয়ে এসে পরিবহন খরচ তুলতে হিমশিম খাচ্ছেন। সরকারের আশ্বাসে তারা চামড়া কিনে এখন দাম না পেয়ে উভয় সংকটে পড়েছেন।
এদিকে জেলা চামড়া ব্যবসায়ী গ্রুপের সভাপতি মমতাজ হোসেন বলেন, সরকার প্রতি বর্গফুট চামড়ার মূল্য ৫০-৫৫ টাকা নির্ধারণ করলেও বাস্তবে গুণগত মানের ভিত্তিতে তিনটি ক্যাটাগরিতে চামড়া সংগ্রহ করছেন ব্যবসায়ীরা। সে অনুযায়ী স্থানীয় বাজারে ৩০০, ৫০০ ও ৮০০ টাকায় চামড়া সংগ্রহ করা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, সরকার বিভিন্ন মাদরাসায় চামড়া সংগ্রহে লবণের বরাদ্দ দিয়েছে। ফলে চামড়ার বড় অংশ সরাসরি মাদরাসায় চলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরটিভি/এএএ/এআর