images

দেশজুড়ে

কুমিল্লার চান্দিনায় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা বহিষ্কার

শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫ , ১১:২৮ পিএম

images

কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন কাননকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কুমিল্লা উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাজহারুল হক (মাছুম) পাঠান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

শনিবার (১৪ জুন) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মাজহারুল হক।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল কুমিল্লা (উত্তর) এর সিদ্ধান্ত মোতাবেক, সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে কুমিল্লা উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মো. আনোয়ার হোসেন আনন্দ ও সদস্য সচিব মো. অহিদুজ্জামান মোল্লার সিদ্ধান্ত অনুমোদনে চান্দিনা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন কাননকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের তার সঙ্গে কোনো রূপ সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়।

এ বিষয়ে চান্দিনা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন কানন বলেন, স্থানীয় কতিপয় দুষ্কৃতকারী আমার আপন ভাগিনাকে আটক করে আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যা দিয়ে চাঁদা দাবি করে এবং তাকে মারধর করে। খবর পেয়ে আমি তাকে উদ্ধার করি। তাদের মধ্যে একজন একটি ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। কিন্তু আমার ভাগিনাকে কোনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আটক করেনি যে আমি তাকে ছাড়িয়ে নিয়েছি।

দল থেকে বহিষ্কারের বিষয়ে তিনি বলেন, দলীয় কোনো সাবেক নেতার বিরুদ্ধে কোনো প্রকার সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে পারে না। স্বেচ্ছাসেবক দলে বর্তমানে আমার সদস্য পদও নেই। উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল আমাকে বহিষ্কার করেছে তা আমার জানাও নেই।

কুমিল্লা উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাজহারুল হক (মাছুম) পাঠান বলেন, চান্দিনা উপজেলায় আমাদের পূর্ণাঙ্গ কমিটি নেই। তাই তাকে সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার জোয়াগ ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আরমান হোসেন রনি নামের এক নেতাকে আটক করেছিল ছাত্র-জনতা। এ সময় খবর পেয়ে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান চান্দিনা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন কানন। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভারাইল হয়। পরে ওই ঘটনা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এতে দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাননকে বহিষ্কার করা হয়।

আরটিভি/এমকে