images

দেশজুড়ে

জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা শিক্ষক সফিকুরের পাশে ছাত্ররা

মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০১৯ , ০৮:০৩ পিএম

images

সমাপনীর পাঠদানে ব্যস্ত থাকার কথা শ্রেণিকক্ষে। অথচ জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে এখন শিক্ষক সফিকুর রহমান। তিনি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার কাশীপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক। সড়ক দুর্ঘটনায় মাথায় মারাত্মক আঘাত পেয়ে রাজধানীর ইবনে সীনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। দুই সপ্তাহ পার হলেও জ্ঞান ফিরেনি তার। তবে ভালো কিছুর আশা করছেন চিকিৎসকরা।  

গেল ২৯ অক্টোবর মোটরসাইকেলযোগে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে পেছন থেকে আসা একটি সিএনজি অটোরিকশা সফিকুর রহমানকে ধাক্কা দেয়। সেসময় মাথায় প্রচণ্ড আঘাত পান। স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে কিছুটা সুস্থ হন তিনি। ৮ নভেম্বর আবারও অসুস্থ হয়ে পড়েন। কয়েকবার বমি করার একপর্যায়ে অজ্ঞান হয়ে যান। নোয়াখালীর কয়েকটি হাসপাতালে চিকিৎসার পর তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ওইদিন রাতেই মাথায় অস্ত্রোপচার করেন চিকিৎসকরা। তবে এখন পর্যন্ত তার জ্ঞান ফিরেনি।

পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে রাজধানীর ইবনে সীনা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।  সেখানে নিউরো সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ড. মাঈনুল হক সরকারের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। 

শিক্ষক সফিকুরের চিকিৎসার জন্য তার ছেলের হাতে চেক হস্তান্তর করছে প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী ফোরাম

সফিকুর রহমানের মেডিকেল পড়ুয়া ছেলে মোজাম্মেল শাকিল বলেন, বাবার অবস্থা সংকটাপন্ন। সমস্যা-একিউট সাবডুরাল হেমাটোমা অ্যান্ড ব্রেইনস্টিম হেমোরেজ। চিকিৎসকরা বলছেন, যেকোনো সময় জ্ঞান ফিরতে পারে। দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসায় হয়তো সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন তিনি।

শিক্ষকের চিকিৎসার জন্য এগিয়ে এসেছে তার ছাত্র ও সহকর্মীরা। দেশ-বিদেশে থাকা সাবেক ছাত্ররা এরই মধ্যে চিকিৎসা ফান্ড গঠন করেছে। প্রিয় শিক্ষককে সুস্থ করে তুলতে সবার সহায়তা চান প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী ফোরামের আহ্বায়ক সহকারী অধ্যাপক শফিক শাহরিয়ার। মানুষ গড়ার এ কারিগরের চিকিৎসা সহায়তায় যোগাযোগ করতে পারবেন ছেলে মোজাম্মেল শাকিলের সঙ্গে। ০১৬৩১-৭৫৬৬৩২ নম্বরে।

আরএ/ জিএ/এসএস