images

দেশজুড়ে / স্বাস্থ্য

নড়াইলে করোনা তথ্য প্রদানে সিভিল সার্জন অফিসের গড়িমসি

বৃহস্পতিবার, ১৬ এপ্রিল ২০২০ , ০৯:১৮ পিএম

images

দেশে করোনার প্রকোপ শুরু হওয়ার পর থেকেই জেলার সাংবাদিকেরা সঠিক তথ্য সংগ্রহ করে তা প্রচার করে আসছে। গেল বেশ কয়েকদিন ধরে নড়াইল সিভিল সার্জন অফিস থেকে সঠিক তথ্য না পাওয়ায়, জেলা সিভিল সার্জন অফিসের গড়িমসি আর সময় ক্ষেপণে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে মিডিয়া কর্মীরা। এ ব্যাপারে ১৫ এপ্রিল নড়াইল প্রেসক্লাবে সাংবাদিকরা সভা করে সিভিল সার্জন অফিসের সমন্বয়হীনতাকে দায়ী করে নিন্দা জানিয়েছেন।

নড়াইল জেলা প্রেসক্লাব সূত্রে জানা গেছে, নিয়মিত করোনা নমুনা সংগ্রহ, আইসোলেশন, হোম কোয়ারেন্টিন বিষয়ে তথ্য জানার জন্য জেলা সিভিল সার্জন অফিসে প্রতিনিয়ত ফোনে যোগাযোগ করা হয়। সিভিল সার্জন অফিসে কে তথ্য দিবেন এমন কোনও সোর্স  তৈরি হয়নি। সিভিল সার্জনকে ফোন করলে সচরাচর পাওয়া যায় না। ফোনে পাওয়া গেলেও সঠিক তথ্য পেতে কয়েক ঘণ্টা সময় লেগে  যায়। এই অবস্থায় ঢাকায় সঠিক সময়ে তথ্য না  পাঠাতে পেরে জেলার তথ্য প্রদানে এক ধরনের হিমশিম খাচ্ছেন কর্মরত সাংবাদিকরা।

নড়াইল জেলা প্রেস ক্লাবের আহ্বায়ক ও একটি বেসরকারি টিভি  চ্যানেলের প্রতিনিধি মোস্তফা কামাল বলেন, আমি কয়েকদিন আগে সিভিল সার্জনের একটি বক্তব্য আনতে গিয়ে ওই অফিসের দুজন ডাক্তারের দ্বারা অপমানিত হয়েছি। এরপর তথ্য আনতে ওই অফিসে যাই না।

নড়াইল প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও টিভি চ্যানেলের প্রতিনিধি মীর্জা নজরুল ইসলাম বলেন, সিভিল সার্জন অফিসের কর্মকর্তাদের অসহযোগিতার কারণে আমরা সঠিক সময়ে ঢাকায় তথ্য পাঠিতে পারছি না, এছাড়া করোনা নমুনা সংগ্রহ একেবারেই ধীর গতিতে চলছে। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলার একজন কর্মকর্তা বলেন, এ সময়ে সবচেয়ে যার গতিশীল হওয়ার কথা, সেই সিভিল সার্জন সাহেবের ধীরগতি এবং সমন্বয়হীনতার ব্যাপারে আমাদের এমপি মাশরাফিও বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলা সিভিল সার্জন অফিসে কর্মরত দুইজন চিকিৎসকের একজন ডা. সৈয়দ শফিক তমাল (এম ও ডিসি) তিনি করোনা তথ্য সংগ্রহ ও প্রদানে নিয়োজিত বলে নিজেকে পরিচয় দিলেও সাংবাদিকরা তথ্য জানতে চাইলে  তিনি সিভিল সার্জনের সঙ্গে কথা বলতে বলেন। অন্যজন ডা. অনিন্দতা ঘোষ (এমও সি এস) তিনি সদরের মাইজপাড়া স্বাস্থ্য কেন্দ্রে দায়িত্বে থাকলেও সিভিল সার্জন অফিসে সংযুক্তি নিয়ে বসে আছেন।  

নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশনের চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বলেন, যেখানে আমাদের কয়েকজন চিকিৎসক মাঠে এবং হাসপাতালে দিনরাত পরিশ্রম করছেন সেখানে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার মেয়ে হওয়ার সুবাদে তিনি সিভিল সার্জন অফিসে বসে আছেন, উনারা এসির মধ্যে বসে কি কাজ করেন? 

এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য  সিভিল সার্জন ডা. এম এ মোমেনের সঙ্গে তিন বার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন ধরেননি।

জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও নড়াইলের জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা বলেন, সাংবাদিকেরা সঠিক তথ্য দিয়ে সরকারি কাজ তথা জনগণের উপকার করে থাকে, সিভিল সার্জন কেন সমন্বয় করবেন না, এটা আমি  দেখছি।

এসএস