রোববার, ১৩ মার্চ ২০২২ , ১১:১৫ এএম
‘নাপা সিরাপ’ খেয়ে ২ শিশুর মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে অনুসন্ধানে নেমেছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। শনিবার (১২ মার্চ) সরকারি ছুটির দিনে মহাপরিচালকসহ সব পরিচালককে নিয়ে দিনব্যাপী নানা আলোচনা-পর্যালোচনা শেষে ঘটনার প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করতে আলাদা ২টি টিম গঠন করা হয়েছে।
আজ রোববার (১৩ মার্চ) সকালে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও পরিচালক আইয়ুব হোসেন।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর জানিয়েছে, অনুসন্ধানী একটি টিম যাবে ঘটনাস্থল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে আর অপর টিম যাবে নাপা সিরাপের মূল প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসে।
এ বিষয়ে অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও পরিচালক আইয়ুব হোসেন বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ওষুধ খেয়ে শিশু মৃত্যুর ঘটনায় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর তৎপর রয়েছে। গতকাল শনিবার সারাদিন আমরা এটা নিয়ে মিটিং করেছি। সবশেষে ঘটনার সুস্পষ্ট কারণ জানতে ২টি টিম গঠন করেছি। একটি টিম আজ ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে যাবে এবং অপরটি বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসে যাবে।
গত ১০ মার্চ রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের ইয়াছিন খান (৭) ও মোরসালিন খান (৫) নামের ২ শিশু মারা যায়। তাদের মা লিমা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, নাপা খাওয়ার পর তারা মারা গেছে।
ওই ঘটনা তদন্তে পৃথক ২টি কমিটি গঠন করা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয় থেকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মহিউদ্দিনকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. মীর মোবারক হোসাইন ও ফেনীর সিভিল সার্জন ডা. রফিক-উস-ছালেহীন। তদন্ত কমিটিকে ৩ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডা. মুহাম্মদ একরাম উল্লাহ জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তদন্ত কমিটি সরেজমিন তদন্ত করে ৩ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবে।
এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে আশুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুপুর সাহাকে প্রধান করে ৩ সদস্যের পৃথক আরেকটি পরিদর্শন কমিটি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।