images

অর্থনীতি

কোম্পানি হস্তান্তরে প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা চান সেভরন কর্মীরা

শনিবার, ২৭ মে ২০১৭ , ০৮:৫২ পিএম

পেট্রোবাংলার নিয়মনীতি মেনেই যুক্তরাষ্ট্রের বহুজাতিক তেল-গ্যাস কোম্পানি শেভরনকে চীনের হিমালয় এনার্জির কাছে মালিকানা হস্তান্তর করতে হবে। আগে যেভাবে ইউনিকল ও অক্সিডেন্টাল তাদের সম্পদ বিক্রি করে দেশ ছেড়েছে, এবার সেরকম সুযোগ যেন শেভরন না পায়। কর্মীদের অবরুদ্ধ করে চাকরিচ্যুতির হুমকি, কর্মস্থল ত্যাগসহ নানাবিধ মানসিক চাপ প্রয়োগ করছে শেভরন। তাই কোম্পানির সুষ্ঠু হস্তান্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহায়তা চাইলেন শেভরনের বাংলাদেশের কর্মীরা।

শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে এসব দাবি জানান শেভরন বাংলাদেশ এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ নাসিম আজিম ও সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার আবেদীন।

এ সময় সংগঠনটির সাংগঠনিক সম্পদক রিশতিয়া সিরাজ, কার্যনির্বাহী সদস্য তারেক রবিন, মেহেদি হাসানসহ ঢাকা অফিস ও শেভরনের ৩টি ফিল্ডের দেড় শতাধিক কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

সভাপতি মো. নাসিম আজিম বলেন, মালিকানা পরিবর্তন সম্পর্কিত কর্মীদের ঝুকিঁ, চাকরির অনিশ্চয়তা, অর্জিত গ্রাচুইটি এবং বঞ্চিত ডব্লিউপিপিএফ এর বিষয়ে শান্তিপূর্ণ সমাধান করতে হবে।  মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেভরনে কর্মরত ৬০০ বাংলাদেশি নিয়মিত কর্মী ও তাদের পরিবার-পরিজনরা উৎকণ্ঠা ও অনিশ্চয়তার মধ্যে দিনযাপন করছে।  আপনি এর একটি সুষ্ঠু সমাধান করুন।

সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার আবেদীন বলেন, কোম্পানির মালিকানা হস্তান্তর বন্ধ বা বাধা সৃষ্টি করার জন্য নয় বরং আমরা সরকারের অনুমতি পাবার বিষয়টি নিশ্চিতকরণ ও কর্মচারীদের সম্ভাব্য কোনো নিয়ম বর্হিভূত কাজে নিয়োজিত করার বিষয়টি নিয়ে উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছিলাম।

তিনি আরো বলেন,  কোম্পানির এ আচরণ সত্ত্বেও দেশের কথা চিন্তা করে, আইনশৃঙ্খলার প্রতি আস্থা রেখে এবং সরকারের প্রতি ইউনিয়ন ও কর্মচারীদের অঙ্গীকার অনুযায়ী এসব পরিস্থিতেও আমরা নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ অব্যাহত রেখেছি।

উল্লেখ্য, শেভরন চীনের হিমালয় এনার্জির কাছে তাদের বাংলাদেশের সম্পদ বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঝেনহুয়া অয়েল ও বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান সিএনআইসি করপোরেশনের কনসোর্টিয়ামই হলো হিমালয় এনার্জি। শেভরন বাংলাদেশের ব্লক ১২তে বিবিয়ানা, ব্লক ১৩তে জালালাবাদ ও ব্লক ১৪তে মৌলভীবাজার গ্যাস ক্ষেত্র থেকে প্রতিদিন যে গ্যাস উত্তোলন করে তা দেশে দৈনিক উত্তোলিত গ্যাসের ৫৫ শতাংশ। এখন বাংলাদেশে গ্যাস উত্তোলিত হচ্ছে প্রায় দুই হাজার ৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট। শেভরনের সঙ্গে সম্পাদিত অংশীদারী চুক্তি (পিএসসি-প্রডাকশন শেয়ারিং কন্ট্রাক্ট) অনুযায়ী, গ্যাস ক্ষেত্র বিক্রি করতে চাইলে পেট্রোবাংলার অনুমোদন দরকার। এছাড়া গ্যাস ক্ষেত্র কিনতে আসা কোম্পানির আর্থিক এবং কারিগরি যোগ্যতা যাচাই করা হয়।

এমসি/সি