রোববার, ২৯ জানুয়ারি ২০২৩ , ০৯:৪৫ এএম
Failed to load the video
ছোটবেলায় ভালো পড়াশোনা না করতে পারলেও, ব্যবসায় চূড়ান্ত সফলতা অর্জন করতে পেরেছেন, ভারতের বর্তমান শীর্ষ ধনী গৌতম আদানি। স্বর্ণের দোকানের সামান্য বেতনের একজন কর্মচারী থেকে তিন দশকের ব্যবধানে বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ ধনীতে পরিণত হয়েছিলেন তিনি।
ব্রোকার হাউজ বা দালালি দিয়ে ব্যবসা শুরু করলেও বর্তমানে আদানির মালিকানায় রয়েছে সাতটি বিমানবন্দর ও বেশ কয়েকটি সমুদ্রবন্দর। ভারতের মোট বিদ্যুৎ চাহিদার চার ভাগের একভাগ সরবরাহ করে আদানির প্রতিষ্ঠান। দেশটির ৩০ শতাংশ খাদ্যের মজুত রয়েছে আদানির গুদামে। কিন্তু এবার ভয়াবহ ধসের কবলে পড়েছে গৌতম আদানির মালিকানাধীন অধিকাংশ কোম্পানি।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বলছে, গেল বুধবার আদানির ব্যবসায়িক সাফল্য নিয়ে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিশ্বের শীর্ষ আর্থিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিনডেনবার্গ রিসার্চ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জালিয়াতি করেই ভারতের শীর্ষ ধনী হয়েছেন গৌতম আদানি। গেল দশ বছর ধরে কৃত্রিমভাবে নিজেদের কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম বাড়িয়ে আসছে আদানি গ্রুপ। সবশেষ তিন বছরে গৌতম আদানির সম্পদ বেড়েছে ৮ শ’ গুণ।
গবেষণায় অবৈধ কারবারের অভিযোগ আনা হয় আদানির বিরুদ্ধে। সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বিভিন্ন দেশে ভুয়া কোম্পানি রয়েছে গৌতম আদানির। বেনামি এসব কোম্পানির মাধ্যমে অবৈধ লেনদেন, কর ফাঁকি ও অর্থ পাচারের কাজ চলে বলে অভিযোগ করা হয়।
প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর থেকেই কমতে শুরু করে গৌতম আদানির কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম। দুই দিনের ব্যবধানে আদানি গ্যাসের শেয়ার দর কমেছে ২০ শতাংশ আর আম্বুজা সিমেন্টের দর কমেছে ২৫ শতাংশ। আদানি পাওয়ার, আদানি উইলমার ও এনডিটিভির শেয়ার দরও সর্বনিম্ন সীমায় নেমে আসে।
ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে, বাজেট পেশসহ বেশকিছু কারণে আতঙ্কে রয়েছেন, বোম্বের স্টক মার্কেটের বিনিয়োগকারীরা। এতে মার্কেটটির বিনিয়োগ কমে গেছে। এর প্রভাব পড়েছে আদানি গ্রুপের শেয়ার দরে। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ভারতের শেয়ার বাজার থেকে বিনিয়োগ প্রত্যাহার করছেন।