images

অর্থনীতি

ডিমের হালিতে হাফ সেঞ্চুরি

বৃহস্পতিবার, ১০ আগস্ট ২০২৩ , ০১:০৯ পিএম

Failed to load the video

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারে অস্থিরতা বেড়েই চলছে। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের হালি হাফ সেঞ্চুরি পার করেছে। ডজন প্রতি বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। এদিকে চোখ পোড়াচ্ছে পেঁয়াজের ঝাঁজ। তবে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে সবজির বাজারে। গেল কয়েক দিনের তুলনায় বেশ কয়েকটি সবজির দাম কমেছে।

বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) রাজধানীর একাধিক বাজার ঘুরে দেখা গেছে, তেল-চাল, ডাল ও মাছ-মাংস বিক্রি হচ্ছে আগের বাড়তি দামেই। গত কয়েক দিনের ব্যবধানে প্রতি ডজন মুরগির ডিমের দাম খুচরায় ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়ে ১৭০ টাকা হয়েছে। এ ছাড়া দেশি পেঁয়াজ ৬৫ টাকা থেকে বেড়ে ৮০ টাকা এবং ভারতীয় পেঁয়াজ ৪৫ থেকে ৫০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৬০ টাকা। কাঁচা মরিচের কেজি ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়।

এর আগে ২০০৯-১০ সালে ডিমের দাম অস্বাভাবিক বেড়েছিল। কারণ ছিল বার্ড ফ্লু। বর্তমানে দাম বাড়ার কারণ হিসেবে খামারিরা বলছেন, পোল্ট্রিফিড ও পরিবহন খরচ অনেক বেড়েছে।

খামারিরা জানিয়েছেন, মুরগির খাবারের দাম এতটা বেশি যে ব্যয় সামলাতে না পেরে অনেক খামার বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে চাহিদার বিপরীতে উৎপাদনও কমে গেছে। 

ডিমের এই অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণ হিসেবে বিক্রেতারা বলছেন, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে পরিবহন খরচ বৃদ্ধি এবং অনেক খামার বন্ধ হয়ে মুরগি ও ডিমের উৎপাদন কমে গেছে।

কারওয়ান বাজারের সেলুন দোকানদার চন্দ্র নাথ দত্ত বলেন, বাচ্চার জন্য ডিম কেনা লাগে। এখন ডিমেরও দাম বেড়ে গেছে। কয়েক দিন আগেও এক হালি ডিম নিয়েছি ৪৮ টাকায়। এখন নিতে হচ্ছে ৫৬ টাকায়।

২০০৮-০৯ সালে মুরগির ডিমের হালির গড় দাম ছিল ২৭ টাকার আশপাশে। সবশেষ গত জুলাইয়ে দাম ছিল ৪০ টাকার কিছু কম।