সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ , ১১:১৮ এএম
Failed to load the video
ভোক্তাদের জিম্মি করে দাম বাড়িয়ে নিতে বারবার সাফল্য দেখেছে সয়াবিন তেল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। বাজার থেকে সয়াবিন তেল উধাওয়ের পর গত ডিসেম্বরে ৮ টাকা দাম বাড়াতে বাধ্য হয় সরকার। এরপর কয়েকদিন সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও ফের বাজারে তেলের সংকট।
এমন বাস্তবতায় আগামী রমজানেও কি সয়াবিন তেলের সংকট চলমান থাকবে? এ নিয়ে সরবরাহকারী ও বিক্রেতাদের নিয়ে রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ভোক্তা অধিদপ্তরের বৈঠক হয়। এতে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি ও বাজারে বিশৃঙ্খলার জন্য তেল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের ওপর দায় চাপালেন পাইকারী ব্যবসায়ীরা।
তবে, সরবরাহ প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষে টিকে গ্রুপের পরিচালক সফিউল তসলিম জানান, আগামী ২৪ তারিখে বড় ধরনের চালান আসবে ও ২৬ ফেব্রুয়ারির পর তেলের সংকট হবে না।
বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্য স্থিতিশীল। একই সঙ্গে টিকে গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপ, সিটি গ্রুপ এবং বাংলাদেশ অ্যাডিবল অয়েল চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি তেল আমদানি করছে, যা আগামী ৭-১০ দিনের মধ্যে বাজারে ঢুকবে।
এদিকে, ভোজ্যতেলের সঙ্গে অন্য পণ্য কেনার শর্তজুড়ে দিলে কঠোর শাস্তির মুখে পড়তে হবে বলে হুঁশিয়ারি করেছেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান।
তিনি বলেন, বাজারে তেলের সঙ্গে চাল, আটা ও চা পাতাসহ বিভিন্ন পণ্য কিনতে ভোক্তাদের শর্ত দেওয়া হচ্ছে। এসবের প্রমাণও পাওয়া গেছে। বাজারে কোথাও এমনটা দেখলে কোম্পানি ও ডিলারদের জরিমানা করবো।
আরটিভি/আরএ