সোমবার, ১৯ মে ২০২৫ , ০৩:০২ পিএম
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ক্রেডিট রেটিং সংস্থা মুডিস শুক্রবার (১৬ মে) যুক্তরাষ্ট্রের সার্বভৌম ক্রেডিট রেটিং ‘এএএ’ থেকে ‘এএ১’ এ নামিয়ে দিয়েছে। ঋণ বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি মন্থর হওয়ার কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই রেটিং হ্রাস মার্কিন অর্থনীতির ভিত দুর্বল হওয়ার সংকেত দিচ্ছে।
মুডিস জানিয়েছে, মার্কিন সরকারের ঋণ তিন লাখ ৬০ হাজার লাখ কোটি ছাড়িয়ে গেছে, আর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধীরগতির কারণে রেটিং কমানো হয়েছে। গত এক দশকের বেশি সময় ধরে সরকারি ঋণ এবং সুদ পরিশোধের অনুপাত বেড়েছে, যা অন্য উচ্চ রেটেড দেশগুলোর তুলনায় বেশি। মার্কিন প্রশাসন ও কংগ্রেস রাজস্ব ঘাটতি ও ঋণের ওপর নিয়ন্ত্রণে ঐক্যমত্যে পৌঁছাতে পারেনি। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক আউটলুকে ‘স্থিতিশীল’ থেকে ‘নেগেটিভ’ পরিবর্তন হয়েছে।
মুডিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বাজেট প্রস্তাব অনুমোদিত হলেও বাধ্যতামূলক ব্যয় ও ঘাটতি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে না, বরং আগামী দশকে ঘাটতি আরও বাড়বে। এনটাইটেলমেন্ট ব্যয়ের বৃদ্ধি এবং রাজস্ব স্থিতিশীল থাকার কারণে ঋণ ও সুদের বোঝা আরও বাড়বে। ২০৩৫ সালের মধ্যে ফেডারেল ঋণ জিডিপির প্রায় ১৩৪ শতাংশে পৌঁছাবে, যা ২০২৪ সালে ৯৮ শতাংশ ছিল। একই সঙ্গে সুদ ব্যয় রাজস্বের ৩০ শতাংশ ছুঁয়ে যাবে, যেখানে ২০২৪ সালে এটি ছিল ১৮ শতাংশ।
মুডিস সতর্ক করেছে, কর ও ব্যয়ের সমন্বয় ব্যতীত মার্কিন বাজেট নমনীয়তা সংকুচিত হবে। ২০১৭ সালের কর কর্তনের আইন সম্প্রসারণ করলে আগামী দশকে প্রাথমিক ঘাটতিতে প্রায় ৪ ট্রিলিয়ন ডলার যোগ হবে।
মুডিসের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠরা সমালোচনা করেছে। ট্রাম্পের সাবেক অর্থনৈতিক উপদেষ্টা স্টিফেন মুর এটিকে ‘অপমানজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন। হোয়াইট হাউজের যোগাযোগ পরিচালক স্টিভেন চেউঞ্জ মুডিসের প্রধান অর্থনীতিবিদ মার্ক জান্দিকে রাজনৈতিক বিরোধী হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
আরটিভি/জেএম/এআর