শুক্রবার, ০১ জানুয়ারি ২০২১ , ০৬:১১ পিএম
করোনা মহামারির কারণে নতুন বছরের প্রথম দিন প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে নতুন বই উৎসব না করতে পারলেও শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি নতুন বই নিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষকরা। এতে নতুন বইয়ের আনন্দে ভাসছেন শিক্ষার্থীরা। বই বিতরণে এটি একটি নতুন উদ্যোগ বলে মনে করছেন শিক্ষকরা।
সরকারের নানা উদ্যোগে করোনা মহামারির মধ্যেও শিক্ষা কার্যক্রম থেমে নেই। শিক্ষার্থীদের সশরীরে বিদ্যালয়ে উপস্থিত না করে অনলাইন, টেলিভিশনে শিক্ষকরা ক্লাস চালিয়ে যাচ্ছেন।
আজকে শুক্রবার (১ জানুয়ারি) দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে করোনা মহামারির কারণে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের হাতে বিনামূল্যের পাঠ্যবই তুলে দিচ্ছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। বিভিন্ন এলাকায় আবার শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের সম্মিলত না করে শিক্ষকরাই ভ্যানে করে শিক্ষার্থীদের বাড়িবাড়ি গিয়ে নতুন বই দিচ্ছেন। অর্থাৎ করোনার মধ্যেও যেন শিক্ষা কার্যক্রমে ব্যাঘাত সৃষ্টি না হয় সেজন্য এমন উদ্যোগ নিয়েছেন শিক্ষকরা।
নতুন বছরে নতুন বই বিতরণে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে কুমিল্লা হাইস্কুল। ভ্যানে করে বাড়ি বাড়ি বই পৌঁছে দিচ্ছেন শিক্ষকরা।
আজ শুক্রবার কুমিল্লা শহরতলির চানপুর এলাকায় ভ্যানে করে শিক্ষার্থীদের বাড়িতে বই নিয়ে হাজির হন কুমিল্লা হাইস্কুলের একদল শিক্ষক। তারা তালিকা ধরে বাড়ি বাড়ি বই দেন। যেসব এলাকায় ভ্যান নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি, সেসব এলাকায় হাতে করে বই নিয়ে যান শিক্ষকেরা।
নতুন বই পেয়ে কুমিল্লা হাইস্কুলের শিক্ষার্থী আবুল হাসান বলেন, প্রতি বছর নতুন বই আনতে স্কুলে যেতাম আমরা কিন্তু এবার স্যারেরা নিজেরাই শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বই দিচ্ছেন। এটাও খারাপ না।
এ ব্যাপারে কুমিল্লা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. হুমায়ুন কবির বলেন, করোনা মহামারির কারণে বই উৎসব হয়নি। তাই আমরা শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি বই পৌঁছে দিচ্ছি।
জানা গেছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষাখাত। এরপরেও যথাসময়ে শিক্ষার্থীদের হাতে পাঠ্যবই তুলে দিচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। গতকাল বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রী এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ শিক্ষাবর্ষে মাধ্যমিকে প্রায় ৩৫ কোটি পাঠ্যবই বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে। তার মধ্যে এবতেদায়ী, দাখিল, মাধ্যমিক (বাংলা-ইংলিশ ভার্সন), কারিগরি, এসএসসি ভোকেশনাল, দাখিল ভোকেশনাল ও দাখিল ভোকেশনাল ব্রেইল মিলে ১ কোটি ৮৫ হাজার ৭৫ হাজার ৪৫৩ জনকে ২৪ কোটি ১০ লাখ ৭৯ হাজার ৮৫৭টি বই দেয়া হবে। এছাড়াও, প্রাথমিক পর্যায়ে প্রাক-প্রাথমিক টিচিং প্যাকেজ, প্রাথমিক স্তর ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী মিলে ২ লাখ ৩০ হাজার ৭৯ হাজার ৭৭৩ জনকে দেয়া হবে ১০ কোটি ২৫ লাখ ৮২ হাজার ৫৫৫টি বই।
এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহা বলেন, বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেয়া ছিল আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ। এটিকে সামনে নিয়ে আমরা কাজ শুরু করা হয়। এ কার্যক্রমে আমরা সফল হয়েছি।
এফএ