images

সিনেমা / ঢালিউড

আপনারা সোশ্যাল কোনো কম্পিটিশনের মধ্যে বাচ্চাদের নিয়ে মাইতেন না প্লিজ: পরীমণি

বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫ , ০৫:১৭ পিএম

images

বেশ চটপটে স্বভাবের স্পষ্টভাষী অভিনেত্রী। সমালোচকদের কথা গায়ে না মেখে সবসময় নিজের ইচ্ছেমতোই ছুটে চলেন তিনি। ভালোবেসে আপন করে নিতে পারেন মানুষকে, বলছি ঢাকাই চলচ্চিত্রের বর্তমান সময়ের অন্যতম গ্ল্যামার নায়িকা পরীমণির কথা। 

রিল লাইফ থেকে রিয়েল লাইফ—দুই জায়গাতেই তাকে নিয়ে নানা সমালোচনা থাকলেও সব কিছুকে পেছনে ফেলে একজন সংগ্রামী নারী ও মমতাময়ী মা হিসেবেই এখন দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। 

সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে নিজের মাতৃত্বের অভিজ্ঞতা নিয়ে একটি দীর্ঘ, হৃদয়ছোঁয়া লেখা প্রকাশ করেন পরীমণি। যেখানে উঠে আসে সন্তান পালনে পাওয়া নানা ভুলভাল পরামর্শ, অযাচিত ‘প্যারেন্টিং লেকচার’ এবং তার নিজের চিন্তা, উপলব্ধি ও বোধ। 

লেখার শুরুতেই পরীমণি বলেন, খেয়াল করে দেখবেন, আপনার চারপাশে এমন কিছু মানুষ থাকবে, যারা ভালোবাসা দেখানোর নামে উপদেশের বন্যা বইয়ে দেবে—তোমার বাচ্চার জন্য এটা করো, ওটা করো না। যাদের অনেকেই হয়তো নিজেরাই জানেন না তারা কী বলছেন।

পরীমণির এক পরিচিতজন, ‘মায়ের সমতুল্য’ এক নারী পরামর্শ দিয়েছিলেন, তিন মাস বয়স থেকেই ডিমের কুসুম দিতে হবে, বসা শিখলেই ওয়াকার! কিন্তু পরীমণি তা করেননি। 

তার ভাষায়, আমি দেইনি, ওই ম্যাডাম নিজেই কিনে এনে দিয়েছেন ওয়াকার। অথচ এখন তো সেটা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ, মেরুদণ্ডের ক্ষতি করে, পঙ্গুত্ব পর্যন্ত হতে পারে!

তবে সেই অভিভাবক শুধু ভুল নয়, কিছু ভালো জিনিসও শিখিয়েছেন। যেমন—ব্রেস্টফিড, তেল মালিশ, গ্যাস বের করার উপায়। সেইসবের জন্য কৃতজ্ঞ পরীমণি।

তবু এই লেখার মূল উদ্দেশ্য ছিল অন্য এক ভিডিও দেখে—যেখানে এক মা গুড প্যারেন্টিং-এর নামে বলছিলেন, সাধ্য থাকলেও সন্তানকে সব কিছু কিনে দেওয়া ঠিক নয়।

পরীমণি প্রশ্ন তোলেন, ছোট্ট একটা শিশুকে আপনি কী শেখাতে চাইছেন? অভাব? না কি কৃপণতা? একটা শিশুর বয়স যদি হয় তিন, তখন তো তাকে শেখাতে হবে ভালোবাসা, অনুভব, উদারতা। অভাব শেখাতে গেলে সে বড় হয়ে শিখবে কেবল বঞ্চনা, কিপটেমি, ধোঁকা।

পুত্রের একটি ঘটনা উল্লেখ করে পরীমণি বলেন, আমি বলি, বাজান, যা ভালো লাগে নিয়ে নাও। তারপর আমি দেখি, সে বন্দুক বা পিস্তল নেয় না, যে খেলনাগুলো ক্ষতিকর সেগুলোকে পাশ কাটিয়ে যায়। আমি দেখি সে কিনে আনা খেলনাগুলো সবাইকে ভাগ করে দেয়। আমি চাই না আমার ছেলেকে কেউ অভাব শেখাক। আমি চাই সে শিখুক মনুষ্যত্ব। আমি চাই, সে বড় হয়ে কারো থেকে কিছু লুকিয়ে না শিখে, উদারতার ভিতরে বেড়ে উঠুক।

সবশেষ পরীমণি লিখেন, আমি জানি প্রত্যেক মায়ের বা বাচ্চাদের বড় হওয়ার জার্নি এক রকম নয়। শুধু এই টুকু বলার, আপনার সোশ্যাল কোনো কম্পিটিশনের মধ্যে বাচ্চদের নিয়ে মাইতেন না প্লিজ।

আরটিভি/এএ -টি