শনিবার, ১৭ মে ২০২৫ , ০৬:৪২ পিএম
মানিকগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
সোমবার (১২ মে) রাত পৌনে ১২টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। চার দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত শনিবার (১৭ মে) এ আদেশ দেন।
এদিকে সরকার পরিবর্তনের প্রায় ১০ মাস পর মমতাজ গ্রেপ্তার হওয়ায় রাজনৈতিক ও জনমনে প্রশ্ন উঠেছে, এতদিন তিনি কোথায় ছিলেন, কীভাবে আত্মগোপনে ছিলেন এই সাবেক সংসদ সদস্য।
তার ভাই এবারত হোসেন জানান, মমতাজ আপা ৫ আগস্টের পরের দিন থেকে প্রায় ৩ মাস মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার চরদুর্গাপুর গ্রামে আমার বাড়িতেই ছিলেন। আমার স্ত্রী, সন্তান ছাড়া আশপাশের বাড়ির কেউই বিষয়টি জানতে না। এ সময় আপা দলের নেতাকর্মীসহ শুভাকাঙ্ক্ষীদের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। এমনকি এই তিন মাস বাড়ির বাইরেই বের হননি।
তিনি আরও জানান, পরে একদিন তিনি বান্ধবী নিপার মাধ্যমে ঢাকার ধানমন্ডি এলাকায় বাসা ভাড়া নেন। কোনো এক রাতের আঁধারে বোরকা পরে মাইক্রোবাসে করে সে বাসায় যান তিনি।
এ বিষয়ে স্থানীরা জানান, মমতাজের ভাই এবারতের বাড়িসহ আশপাশের এলাকা সিসি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। বাইরের কোনো মানুষ এলেই তারা জানতে পারত। বাড়ির আঙিনায় কেউ এলেই মাহিলারা বলতেন বাড়িতে কেউ নেই।
মমতাজ বেগমের তৃতীয় স্বামী ডাক্তার মঈন হাসান চঞ্চল বলেন, মমতাজ বেগমের মেয়ে রুনুর মোহাম্মদপুরের বাসায় আশ্রয়ে ছিলেন তিনি। এর পর তিনি নিপার ভাড়া করা বাসায় থাকতে শুরু করেন।
তিনি আরও জানান, মমতাজের নিজের মহাখালীর ডিওএইচএসের পাঁচ তলা বাড়ি এখন মমতাজের পিএস তথা বয়ফ্রেন্ড জুয়েলের দখলে।
এ বিষয়ে মঈন হাসান জানান, মমতাজ বেগমের সঙ্গে তার তিন বছর ধরে কোনো যোগাযোগ নেই।
এ বিষয়ে সিংগাইর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জেওএম তৌফিক আজম বলেন, আমি এই থানায় দুই মাস হলো যোগদান করেছি। এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না।
প্রসঙ্গত, মমতাজ বেগমকে ১২ মে রাতে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তখন ডিএমপির মিডিয়া আ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, ধানমন্ডি স্টার কাবাবের পেছনের একটি বাসায় মমতাজ বেগম আত্মগোপনে ছিলেন। সেখান থেকে ১২ মে রাত পৌনে ১২টায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরটিভি/এএ-টি