images

স্বাস্থ্য

কঠোর লকডাউন উঠলেও কমছে সংক্রমণ

রোববার, ২২ আগস্ট ২০২১ , ১২:০১ এএম

images

করোনা সংক্রমণ কমাতে সরকার বারবার কঠোর লকডাউন ঘোষণা করলেও সংক্রমণ কমেনি। তবে কঠোর লকডাউন উঠলেও করোনা সংক্রমণ কমেছে। তিন সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিদিন মৃত্যু সংখ্যা ২৬৪ থেকে কমে ১২০ জন হয়েছে। যা ৫২ দিনের মধ্যে এক দিনে সর্বনিম্ন মৃত্যুর রেকর্ড। একই সঙ্গে নতুন রোগী শনাক্তের সংখ্যা ১৬ হাজার থেকে কমে তিন হাজারের ঘরে নেমে এসেছে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় দৈনিক রোগী শনাক্তে হার ৩০ শতাংশ থেকে কমে ১৬ শতাংশে এসেছে। যা গত দুই মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম।

জনস্বাস্থ্যবিদরা বলছেন, গেল এক মাসের কঠোর লকডাউনের ফল এটি। তবে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে আগামী মাসের শুরুতে গিয়ে আবার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকছে।

দেশে করোনা প্রথম শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। উদ্বেগ থাকলেও প্রথম কয়েক মাসে ভাইরাসটি সেভাবে ছড়ায়নি। গত শীতে দ্বিতীয় ঢেউ আসার উদ্বেগ থাকলেও সংক্রমণ ও মৃত্যু—দুইটিই কমে আসে। একপর্যায়ে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৩ শতাংশের নিচে নেমে যায়, যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিবেচনায় মহামারি নয়, নিয়ন্ত্রিত পরিস্থিতি।

তবে গত মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকে শনাক্তের হার আবার বাড়তে থাকে। দ্বিতীয় ঢেউ নিশ্চিত হওয়ার পর এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে ভারতে করোনার নতুন ধরনের কথা জানা যায়। সেই ভ্যারিয়েন্ট আক্রান্তদের দ্রুত অসুস্থ করে দেয়, তাদের অক্সিজেন লাগে বেশি। ছড়ায়ও দ্রুত, তাই মৃত্যুর সংখ্যাও বেশি। যে কারণে জুলাই মাসে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত ও মৃত্যু ঘটনা ঘটে। ওই মাসে রোগী শনাক্তের সংখ্যা তিন লাখের অধিক। মৃত্যু হয় ৭ হাজার বেশি। জুলাইয়ের শেষে দিকে বেশ কিছুদিন শনাক্তের হার ৩১ শতাংশের বেশি ছিল।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, শনিবার দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ১২০ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা ৫২ দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন। এই সময়ে সংক্রমণ ধরা পড়েছে ৩ হাজার ৯৯১ জনের শরীরে।

দেশে এই নিয়ে শনাক্ত দাঁড়িয়েছে ১৪ লাখ ৫৭ হাজার ১৯৪ জন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৫ হাজার ১৪৩ জনের। এর আগে একদিনে কম শনাক্তের খবর আসে গত ২০ জুন। সেদিন শনাক্তের সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৬৪১ ছিল। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ২৩ হাজার ৮৮২টি। নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৭১ শতাংশ।

এফএ