images

স্বাস্থ্য

কিনে আনা ফল সরাসরি খেলে পড়তে পারেন যে বিপদে

সোমবার, ২৬ মে ২০২৫ , ১২:০৫ পিএম

images

বাংলাদেশে চলছে এখন মধুমাস। বাজারে ফল কিনতে গেলে দোকানে সুন্দর ও লোভনীয় ফল দেখা যায়। ভালো মনে করে অনেকে প্রয়োজনে বেশি দাম দিয়েও ফল কেনেন। গ্রীষ্মের দাবদাহে পাকতে শুরু করেছে রসালো সব আম। বাজারে শোভা ছড়াচ্ছে নানা রঙয়ের আম। কিন্তু বাজার থেকে কিনে আনা এ ফল সরাসরি খেলেই আপনি পড়তে পারেন বিপদে।  

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অসাধু ব্যবসায়ীরা নিজেদের লোকসানের হাত থেকে বাঁচাতে ফলে ফরমালিন ও কার্বাইড রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করে। মূলত কাঁচা আমকে দ্রুত পাকাতে ব্যবসায়ীরা ফলে কার্বাইড মিশিয়ে থাকে। আর এ ফল যেন দ্রুত পচে না যায় তার জন্য ব্যবহার করে ফরমালিন মিশ্রিত পানি।
 
এ অবস্থায় আপনি বাজার থেকে কিনে আনা আম সামান্য ধুয়ে খেতে শুরু করেন তাহলে আপনার স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়বে ক্যানসারের আশঙ্কা। 

করণীয়
বাজারের পাকা আম কেনার পর ফলগুলো ভালো করে ধুয়ে বাতাসে পানি শুকিয়ে নিন। এরপর ফ্রিজে বা ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় ফল সংরক্ষণ করুন। যখন ফল খাবেন তার অন্তত আধ ঘণ্টা আগে ফল পানির কলের ধারায় ধরে রাখুন ১ মিনিটের মতো। 
 
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পানির এ স্রোতধারায় ফল ধুয়ে নিলে ৩০ শতাংশ ক্ষতিকর দিক মুক্ত করা সম্ভব। এরপর পাকা আমের বোঁটার অংশটি কেটে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন আধ ঘণ্টার মতো। এতে প্রায় ৯০ শতাংশ ক্ষতিকর প্রভাব মুক্ত হবে। এ প্রক্রিয়ায় ফলটি যেমন রাসায়নিক মুক্ত হবে তেমনি কাটার সময় খোসা ছাড়ানোও সহজ হবে।

পাকা আমের বোঁটার অংশে যে কষ থাকে তা অসতর্কভাবে মুখে চলে গেলে তা ত্বকে ইনফেকশন ও অ্যালার্জির ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। তাই বোঁটা কেটে পানিতে আধ ঘণ্টা পাকা আম ভিজিয়ে রাখার কারণে এ সমস্যার পুরোপুরি প্রতিকার সম্ভব বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

পাকা আম ভিটামিন এ, সি, কে, ফাইবার, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফোলেট এবং বিটা-ক্যারোটিনের মতো পুষ্টিতে সমৃদ্ধ। একটি পাকা আমে থাকে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম। যা শরীরের রক্তস্বল্পতা দূর করতে ও হার্ট সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।  

তাই যাদের রক্তস্বল্পতার সমস্যা আছে তারা প্রতিদিন অল্প পরিমাণে হলেও আম খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন। অন্যদিকে যাদের হাড়ের সমস্যা আছে তাদের জন্যও আম বেশ উপকারী।

পুষ্টিগুণে ভরপুর এ ফল থেকে শতভাগ স্বাস্থ্য উপকারিতা পেতে কয়েকটি ধাপ মেনে চলতে হবে। কারণ পুষ্টিবিদরা বলছেন, বাজার থেকে নিয়ে আসা আম কয়েকটি ধাপ পেরিয়ে খাওয়া উচিত। এই ধাপ অনুসরণ করলে নিজের সুরক্ষা নিশ্চিত করার পাশাপাশি পরিবারকেও সুরক্ষিত রাখা যাবে।

আরটিভি/এসকে