images

জাতীয় / আন্তর্জাতিক / ইউরোপ / যুক্তরাজ্য

‘সৌদি আরবে অবৈধ অস্ত্র ব্যবসা বন্ধ না করলে সেনাবাহিনীতে কাজ করবো না’

বৃহস্পতিবার, ২৭ আগস্ট ২০২০ , ০৬:২৪ পিএম

images

ইয়েমেন যুদ্ধবিরোধী একটি বিক্ষোভে অংশ নিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর একজন নন-কমিশনড অফিসার। শুধু বিক্ষোভে অংশ নেয়াই নয়, সৌদি আরবকে যুক্তরাজ্য অস্ত্র বিক্রি বন্ধ না করা পর্যন্ত তিনি সেনাবাহিনীতে কাজ করবে না বলেও ঘোষণা দেন।

২১ বছর বয়সী ওই ল্যান্স কর্পোরালের নাম আহমাদ আলবাতাতি। আলবাতাতি শেফিল্ডের বাসিন্দা হলেও তার জন্ম হয়েছে ইয়েমেনে। তিনি অনলাইনে একটি ভিডিও পোস্ট করেন, যেখানে তিনি ইয়েমেনে সৌদি আরবের ‘যুদ্ধাপরাধের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন।

ওই ভিডিও পোস্ট করার আগে লন্ডনের হোয়াইটহলে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বাইরে একটি বিক্ষোভে অংশ নেন তিনি।

১৪ সিগন্যালস রেজিমেন্ট (ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার) এর সদস্য আলবাতাতি নিজের সামরিক পোশাক পরেই ওই বিক্ষোভে অংশ নেয়। এসময় তার হাতে একটি প্ল্যাকার্ড ধরা ছিল। সেখানে লেখা ছিল, সৌদি আরবের সঙ্গে চুক্তি সমাপ্তি ঘটার আগ পর্যন্ত আমি সেনাবাহিনীতে কাজ করবো না।

পরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং রয়েল মিলিটারি পুলিশ তাকে নিয়ে যায়।

দ্য নিউ আরবকে তিনি বলেন, আমি রয়েল সিগন্যালস কর্পস-এর একজন কমিউনিকেশন্স ইঞ্জিনিয়ার। ইয়েমেনের জনগণের প্রতি আমাদের সরকারের অবিবেচনা কারণে আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা সৈনিক (যারা) সরকারের সেবা করছি, কিন্তু আমি কেন এমন একটা সরকারের জন্য কাজ করবো যারা ইয়েমেনের ভুক্তভোগীদের চেয়ে টাকাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।

আলবাতাতি বলেন, আমাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে এবং আমার ইউনিটের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তারা বুঝতে পেরেছে আমার এই আন্দোলন সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নয় বরং ব্রিটিশ সরকারে যাদের হয়ে কাজ করছি, তাদের বিরুদ্ধে। আমার সঙ্গে কি ঘটবে তা আমি এখনও জানি।

তিনি আরও বলেন, তবে আমার বার্তা স্পষ্ট। সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়ার আগ পর্যন্ত আমি সেনাবাহিনীতে কাজ করবো না। আর এই সিদ্ধান্ত হচ্ছে সৌদি আরবের সঙ্গে অবৈধ অস্ত্র ব্যবসা বন্ধ করা। আমি বিবেকবান একজন তাই আমি মনে করি না যে সরকার সঠিক কাজ করবে।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সাল থেকে ইয়েমেনের বিরুদ্ধে আগ্রাসন চালাচ্ছে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট। এরই মধ্যে গত মাসে যুক্তরাজ্য ঘোষণা দেয় যে তারা সৌদি আরবকে অস্ত্র বিক্রি আরও শুরু করবে। এর আগে ২০১৯ সালে কোর্টের এক আদেশে সৌদিকে যুক্তরাজ্যের অস্ত্র বিক্রি অবৈধ ঘোষণা করা হয়।