শনিবার, ১৫ জুলাই ২০১৭ , ০৯:০০ এএম
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে রাশিয়ার আইনজীবীর সঙ্গে ট্রাম্পপুত্রের গোপন বৈঠক ফাঁস হওয়ার খবরে তোলপাড় চলছে আমেরিকাজুড়ে। সেই খবরটি ফাঁস করেছেন বৈঠকে উপস্থিত থাকা রাশিয়ার এক সাবেক সেনা কর্মকর্তা।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম এনবিসি বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করলে শুক্রবার ওই সেনা কর্মকর্তা নিজেই এ বিষয়টি স্বীকার করেন।
দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলোতে বলা হচ্ছে, রাশিয়ান ওই আইনজীবীর নাম ন্যাটালিয়া ভেসেলনিটস্কায়া এবং ওই সেনা কর্মকর্তার নাম নিত আখমেটশিন। আর এ খবর এখন আমেরিকাবাসীদের আলোচনার মূল বিষয়।
নিত আখমেটশিন বলেন, ২০১৬ সালের জুন মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছেলে এবং রাশিয়ান ওই আইনজীবীর মধ্যকার বৈঠকে তিনিও উপস্থিত ছিলেন।
ওই বৈঠকে আরো ছিলেন ট্রাম্প জামাতা জ্যারেড কুশনার এবং বর্তমানে হোয়াইট হাউসে জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা ও তৎকালীন ট্রাম্প প্রচারণা শিবির প্রধান পল ম্যানাফোর্ট।
রিনাত আখমেটশিন বার্তা সংস্থা এপিকে জানিয়েছেন, হিলারি সম্পর্কে তথ্য জানার আশায় ক্রেমলিন সংশ্লিষ্ট রুশ নাগরিকের সঙ্গে ট্রাম্প জুনিয়রের বৈঠকে তিনি উপস্থিত ছিলেন।
খবরে বলা হয়, নতুন এই সাক্ষাৎ মার্কিন নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের অভিযোগকে আরো জোরালো করে তুলেছে। চলতি সপ্তাহের শুরুতে ট্রাম্পপুত্র ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র ই-মেইল আলাপচারিতা প্রকাশ করেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এতে ট্রাম্প জুনিয়র ও এক রাশিয়ান আইনজীবীর মধ্যে সাক্ষাতের কথা উঠে আসে।
ওই সাক্ষাতের মূল উদ্দেশ্য ছিল হিলারি ক্লিনটনকে নিয়ে নেতিবাচক তথ্য ট্রাম্প জুনিয়রকে দেয়া। তবে ট্রাম্প জুনিয়র ওই সাক্ষাতে রাশিয়ান আইনজীবীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা স্বীকার করলেও আখমেতশিনের উপস্থিতির কথা জানাননি।
আখমেতশিন বলেন, ট্রাম্প জুনিয়র ওই আইনজীবীকে ডেমোক্রেটিক ন্যাশনাল কমিটিতে অবৈধ অর্থ প্রবাহ বিষয়ে জিজ্ঞেস করেন। কিন্তু উত্তরে ভেসেলনিতস্কায়া বলেন, তার কাছে তেমন তথ্য নেই।
এদিকে, ওই বৈঠকে আখমেতশিনের উপস্থিতি নিয়ে জানতে চাওয়া হলে ম্যানাফোর্টের মুখপাত্র জেসন ম্যালনি মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান।
তবে ছেলের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ওঠার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প এক বিবৃতিতে ছেলেকে একজন উচ্চ যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তি বলে বর্ণনা করেন এবং তার সততার প্রশংসা করেন।
বিবিসি জানিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণার সময় থেকেই হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে রুশ হস্তক্ষেপের অভিযোগ ওঠে। সেই অভিযোগটির তদন্ত এখনো চলমান। অভিযোগ রয়েছে, হিলারি ক্লিনটনের ইমেইল ফাঁস করে রাশিয়া ট্রাম্পকে নির্বাচনে জিততে সহযোগিতা করেছে। ট্রাম্প ও রাশিয়ার পক্ষ থেকে এ অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
সি/