শুক্রবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৩ , ০৯:১২ পিএম
পশ্চিমবঙ্গে ‘দিদিকে বলো’ বলে একটা কর্মসূচি আছে। যেখানে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে প্রশাসনিক বিষয়ে নালিশ জানাতে পারে সাধারণ মানুষ। ২০১৯ থেকে এই কর্মসূচি চলছে। পাঁচ লাখ মানুষ তাদের অভিযোগ জানিয়েছেন। ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শ মেনে এই প্রকল্প চালু করা হয়েছিল।
সেখানেই নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন অলোক মজুমদার নামে এক বৃদ্ধ। তারপরই একশজন স্ত্রী-পুরুষকে নিয়ে তৃণমূল কাউন্সিলারের স্বামী তাকে ও তার স্ত্রীকে মারধর করেন বলে অভিযোগ।
কাউন্সিলারের স্বামী বলেছেন, এই অভিযোগ মিথ্যা। তার পাল্টা দাবি, অলোক মজুমদার ড্রেন পরিষ্কার করতে দেন না। ডেঙ্গু হচ্ছে বলে তা পরিষ্কার করে দেওয়ায় তিনি ক্ষুব্ধ।
এলাকাবাসীর বক্তব্য, উত্তর দমদম পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডে উত্তর প্রতাপগড় এলাকার কিছু পরিবার বিরোধী দলের সমর্থক। তার মধ্যে মজুমদার পরিবারও আছে। সেখানকার কয়েকটি পরিবার ‘দিদিকে বলো’তে ফোন করে নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে অভিযোগ জানান। তারপরই ইঞ্জিনিয়ার এসে সব দেখে যান। ‘দিদিকে বলো’র নিয়মানুযায়ী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অভিযোগকারীকে জানানো হয়, কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
অভিযোগ, ইঞ্জিনিয়ার আসার পর ক্ষুব্ধ হন তৃণমূল কাউন্সিলারের স্বামী।
অলোক মজুমদার বলেন, বিজেপি, সিপিএমের ভোটার থাকায় রাস্তা হয় না। তাদের ওয়ার্ডে কাজ হয় না। দিদিকে বলো-তে অভিযোগ জানানোর পর আমার স্ত্রীকে মারধর করা হয়। আমাকেও মারে। আমরা খুব ভয়ে আছি।
বিজেপি’র নেতা কিশোর করের অভিযোগ, বিরোধী প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার অপরাধে সেখানে সব কাজ বন্ধ। দিদিকে বলোতে অভিযোগ করা হয়েছে বলে, মারধর করা হচ্ছে। বাড়িতে গিয়ে হামলা চালানো হয়েছে।