images

আন্তর্জাতিক

মার্কিন সরকারের দায়িত্ব থেকে সরে যাচ্ছেন ইলন মাস্ক

বৃহস্পতিবার, ০৩ এপ্রিল ২০২৫ , ০১:৩৬ পিএম

images

ইলন মাস্ক। পরিচিতির জন্য যেন নামটাই যথেষ্ট। নতুন খবর হলো, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকারের দায়িত্ব থেকে সরে যাচ্ছেন টেসলা ও স্পেসএক্সের এই প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার মন্ত্রিসভার সদস্যসহ ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের এমনটা জানিয়েছেন। 

বুধবার (২ এপ্রিল) মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকোর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টের এই বক্তব্য সম্পর্কে অবগত তিনটি সূত্র জানিয়েছে, নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ইলন মাস্ক এখন তার ব্যবসায়িক কাজে ফিরে যাবেন। পাশাপাশি তিনি সরকারকে সহায়তায় একটি ভূমিকা পালন করবেন। মাস্ক ও তার বিভাগের কার্যক্রম নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন ট্রাম্প। তবে সম্প্রতি দুজনই এ বিষয়ে একমত হন যে, মাস্কের সরে দাঁড়ানোর সময় হয়েছে।

ডিওজিইর দায়িত্ব গ্রহণের মধ্য দিয়ে মাস্ক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন। কিন্তু চঞ্চল মনোভাবের কারণে ট্রাম্প প্রশাসনের ভেতরের লোকজন এবং প্রশাসনের বাইরের অনেক মিত্র মাস্ককে অপছন্দ করা শুরু করেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের পাল্লা ভারি হতে থাকে। অন্যদিকে বিশ্বের শীর্ষ এই ধনীকে সম্পদের পরিবর্তে রাজনৈতিক দায় হিসেবে দেখতে শুরু করেন ট্রাম্পের দলের রাজনীতিবিদেরা।

তবে কবে মাস্ক সরকারি দায়িত্ব ছাড়ছেন তার সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ জানাতে পারেনি মার্কিন এ সংবাদমাধ্যম। এমনকি এ প্রতিবেদন প্রসঙ্গে হোয়াইট হাউজ, মাস্ক নেতৃত্বাধীন সংস্থা ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি (ডিওজিই) কিংবা মাস্কের কোনো প্রতিনিধির তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

এদিকে এ খবর প্রকাশিত হওয়ার পর সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ নানান কোম্পানির পাশাপাশি মাস্কের টেসলার শেয়ারেরও দাম বেড়ে গেছে বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

এ বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষস্থানীয় একজন কর্মকর্তা বলেছেন, দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেও মাস্ক সম্ভবত প্রেসিডেন্টের অনানুষ্ঠানিক উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করবেন। মাঝেমধ্যে তাকে হয়তো হোয়াইট হাউসে দেখা যাবে।

এর আগে, দ্বিতীয়বারের মতো মার্কিন মসনদে বসার পর মাস্ককে নবগঠিত সরকারি দক্ষতা বিভাগের (ডিওজিই) দায়িত্ব দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এটা সরকারের সরাসরি কোনো অংশ না হলেও যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যয় ও কর্মিবহর কমানো ছিল এই বিভাগের কাজ।

প্রসঙ্গত, গত জানুয়ারিতে ক্ষমতায় আসার পর পর মাস্কের পরামর্শে বেশ কয়েকটি বড় সিদ্ধান্ত নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা ইউএসএআইডি বন্ধ করা এবং লাখ লাখ সরকারি চাকরিজীবীকে অবসরে পাঠানোর মতো সিদ্ধান্ত দেশটিতে রীতিমতো হইচই ফেলে দিয়েছিল।

আরটিভি/আইএম-টি