বুধবার, ০৭ মে ২০২৫ , ০৫:১৬ পিএম
কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার দুই সপ্তাহের মাথায় সামরিক সংঘাতে জড়িয়েছে পারমাণবিক ক্ষমতাধর দুই দেশ ভারত ও পাকিস্তান। গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাতের পর পাকিস্তানের ছয়টি জায়গায় হামলা চালায় ভারতীয় সামরিক বাহিনী। এ অভিযানের নাম ‘অপারেশন সিঁদুর’।
‘অপারেশন সিঁদুর’ ঘিরে আবারও বাড়ছে চিরবৈরী দুই প্রতিবেশী দেশের উত্তেজনা। ঠিক এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতেই পাকিস্তানের রাজনৈতিক আকাশেও উঠছে নতুন ঝড়। দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ফেসবুক পাতায় ভেসে উঠল এক পুরোনো ভিডিও। তার পুরোনো একটি বক্তব্যের ভিডিও প্রকাশ করে সেখানে দাবি করা হয়েছে তার মুক্তি। বলা হয়েছে তার মুক্তির সঙ্গে জড়িয়ে আছে পাকিস্তানের বৃহত্তর স্বার্থও।
ইমরান খানের অফিসিয়াল ফেসবুক পাতায় পোস্ট করা ভিডিওটি ২০১৯ সালের। জাতিসংঘে দাঁড়িয়ে ইমরান সেদিন ভারতের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে জোর গলায় বলেছিলেন, যদি দুই দেশের মধ্যে সাধারণ যুদ্ধ শুরু হয়, তবে যে দেশটি তার প্রতিবেশীর তুলনায় সাত গুণ ছোট, সে কী করবে? আত্মসমর্পণ নাকি স্বাধীনতার জন্য মৃত্যুর আগ পর্যন্ত লড়াই? আমি বিশ্বাস করি- ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ এবং আমরা শেষ পর্যন্ত লড়াই করব। আর যখন একটি পারমাণবিক শক্তিধর দেশ শেষ পর্যন্ত লড়ে, তখন এর পরিণতি সীমানা পেরিয়ে বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে।
এই ভিডিওর মাধ্যমে দাবি করা হয়, বর্তমান সংকট মোকাবিলায় ইমরান খানের নেতৃত্ব পাকিস্তানের জন্য অপরিহার্য। ফেসবুক পোস্টে তার কারামুক্তির আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, এই ইমরান খানই পারেন জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে। এখনই সময় তার উপদেশ শোনা ও তাকে মুক্ত করে পাকিস্তানের বৃহত্তর স্বার্থ রক্ষা করার।
ভারত আর পাকিস্তানের মধ্যকার রাজনৈতিক টানাপোড়েন সামরিক রূপ নেয় মাঝেমধ্যেই। ২০১৯ সালেও ঘটেছিল এমন কিছু। সে বছর ফেব্রুয়ারিতে পুলাওয়ামায় আত্মঘাতী হামলায় প্রাণ হারান বেশ কিছু ভারতীয় সেনা সদস্য। এরপর থেকে দুই দেশ চলে এসেছিল মুখোমুখি অবস্থানে। এরপর সে বছর জাতিসংঘে দাঁড়িয়ে এ কথাগুলো বলেছিলেন ইমরান।
আরটিভি/একে/এস