images

আন্তর্জাতিক

হামলা-পাল্টা হামলা, ভারত-পাকিস্তান কার কত ক্ষতি হলো

বুধবার, ০৭ মে ২০২৫ , ০৫:৩৬ পিএম

images

জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলাকে ঘিরে হঠাৎ করেই মঙ্গলবার মধ্যরাতে পাকিস্তানে হামলা চালিয়েছে ভারত। জবাবে ভারতেও পাল্টা হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। হামলা-পাল্টা হামলায় দুই দেশই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ভারত দাবি করেছে, তারা নয়টি পাকিস্তানি অবকাঠামোয় হামলা চালিয়েছে। যার কয়েকটি গত মাসে ভারতের কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর হামলার ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত। 

ভারতীয় প্রতিরক্ষা সূত্র জানায়, ভারতীয় বাহিনী চরমপন্থি গোষ্ঠী জইশ-ই-মোহাম্মদ এবং লস্কর-ই-তৈয়বার সদর দপ্তরে হামলা চালিয়েছে।

এক বিবৃতিতে ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভারত লক্ষ্যবস্তু নির্বাচন এবং হত্যা কার্যকর করা পদ্ধতিতে যথেষ্ট সংযম প্রদর্শন করেছে।

যুদ্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টিকারী এমন হামলার বিষয়ে আত্মপক্ষ সমর্থন করে এরই মধ্যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি। বুধবার দ্য হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে তার সে ব্যাখ্যা উঠে এসেছে। 

সেখানে ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব বলেছেন, একটি রেসিট্যান্স ফ্রন্ট পেহেলগামে হামলার দায় স্বীকার করেছে। এই সংগঠনটির সঙ্গে পাকিস্তানে নিষিদ্ধ ঘোষিত গোষ্ঠী লঙ্কর-ই-তৈয়েবার সম্পর্ক রয়েছে। এর মাধ্যমেই বোঝা যায় কাশ্মীরে হামলায় পাকিস্তানের যোগসূত্র রয়েছে। 

তিনি বলেন, বিশ্বাসযোগ্য গোয়েন্দা তথ্য ও বিশ্বজুড়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ সত্ত্বেও পাকিস্তান তাদের ভূখণ্ড থেকে পরিচালিত সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কগুলোর বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। পাকিস্তান ইতোমধ্যে বিশ্বের কাছে সন্ত্রাসীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে একটি পরিচিতি তৈরি করেছে।

এদিকে পাকিস্তান দাবি করেছে, তারা পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছে। দেশটি জানায়, ছয়টি পাকিস্তানি এলাকায় হামলা চালিয়েছে ভারত। তবে তার কোনোটিই উগ্রপন্থিদের শিবির না।

পাকিস্তানের একজন সামরিক মুখপাত্র জানান, ভারতের কমপক্ষে ২৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং ৪৬ জন আহত হয়েছে। এ ছাড়া পাঁচটি ভারতীয় বিমান গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে।

তবে ভারতীয় কাশ্মীরের স্থানীয় চারটি সরকারি সূত্র জানায়, রাতে হিমালয় অঞ্চলের পৃথক এলাকায় তিনটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। তিনজন ভারতীয় পাইলটকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেননি।

ভারতের এই হামলাকে যুদ্ধের একটি স্পষ্ট পদক্ষেপ বলে অভিহিত করেছে পাকিস্তান। তারা বলেছে, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে। পাকিস্তান ভারতীয় আগ্রাসনের যথাযথ প্রতিক্রিয়া জানানোর অধিকার সংরক্ষণ করে।

এ বিষয়ে পাকিস্তানের সামরিক মুখপাত্র আহমেদ শরীফ চৌধুরী বলেছেন, এই সমস্ত সংঘর্ষ প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা হিসেবে করা হয়েছে। পাকিস্তান একটি অত্যন্ত দায়িত্বশীল রাষ্ট্র। তবে, আমরা যেকোনো মূল্যে পাকিস্তানের সম্মান, অখণ্ডতা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ নেব।

সূত্র: রয়টার্স

আরটিভি/এফএ