images

আন্তর্জাতিক / মধ্যপ্রাচ্য / যুক্তরাষ্ট্র

ইরানকে অপমান ও ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচানোর খুব চেষ্টা করেছিলাম: ট্রাম্প

শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫ , ০১:৪৯ পিএম

images

‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামের এই অভিযানে ইরানের রাজধানী তেহরানসহ ইরানের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা, পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র ও আবাসিক স্থাপনায় হামলা চালায় ইসরায়েলের ইহুদিবাদী সেনারা। ওয়াশিংটন সম্মতি না দিলে ইসরায়েল কখনই এমন হামলা চালাতে পারতো না বলে দাবি করেছেন ইরানি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাকাই।

এবার ইরানে ইসরায়েলে হামলা নিয়ে মুখ খুলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেছেন, হামলার বিষয়টি তিনি আগেই জানতেন। তিনি সাংবাদিকদের দিকে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলেন, আমি ইরানকে ৬০ দিন সময় দিয়েছিলাম, আজ ৬১তম দিন, ঠিক কিনা?

ট্রাম্পের ভাষ্য, আমরা সব জানতাম। আমি ইরানকে অপমান ও ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে চেয়েছিলাম। আমি খুব চেষ্টা করেছি। কারণ, আমি চাইতাম, একটা চুক্তি হোক। তবে এখনও দেরি হয়নি।’

আরও পড়ুন
Web-Image

ওয়াশিংটন সম্মতি না দিলে এই হামলা কখনই হতো না: ইরান

যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের পাশে থাকবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, আমরা ইসরায়েলের খুব ঘনিষ্ঠ। আমরা তাদের সবচেয়ে বড় মিত্র। দেখা যাক, কী হয়।

প্রসঙ্গত, গত ১২ জুন দিনগত রাতে হঠাৎ ইরানে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামের এই অভিযানে রাজধানী তেহরানসহ ইরানের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা, পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র ও আবাসিক স্থাপনায় হামলা চালায় ইহুদিবাদী সেনারা।

হামলায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি, দেশটির ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) প্রধান কমান্ডার হোসেইন সালামি, খাতাম আল-আনবিয়া সদরদপ্তরের কমান্ডার ও বিপ্লবী রক্ষীবাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মেজর জেনারেল গোলাম আলি রশিদ ও ৬ জন পরমাণু বিজ্ঞানীসহ অন্তত ৭৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। হামলা এখনও অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল।

ইসরায়েলের হামলার পর পাল্টা প্রতিশোধ হিসেবে শুক্রবার রাতে ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস-৩ নামে’ অভিযান শুরু করে ইরান। মিসাইল হামলা শুরু হতেই নিজের নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান ও উচ্চপদস্থ মন্ত্রীদের সঙ্গে নিয়ে মাটির নিচে বাংকারে আশ্রয় নিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

আরটিভি/এসআর/এস