শনিবার, ২১ জুন ২০২৫ , ০৬:৫৩ পিএম
ভারতের উত্তরপ্রদেশের বাঘপত জেলার বারাউট থানার অন্তর্গত লুহারি গ্রামের মেয়ে শিভানি। একই গ্রামের অঙ্কিত নামের এক যুবকের সঙ্গে গত চার-পাঁচ বছর ধরে সম্পর্কে ছিলেন এই তরুণী। তাদের এই সম্পর্কের কথা জানার পর শিভানির পরিবার তীব্র আপত্তি জানায় এবং তাকে বাড়ির মধ্যেই আটকে রাখে।
যাতে সে অঙ্কিতের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে। তবে, শিভানি তার সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন এবং অঙ্কিতকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন। পরিবারের সিদ্ধান্ত না মানায় ২২ বছর বয়সী শিভানিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা অভিযোগ উঠেছে তার মা-বাবার বিরুদ্ধে। টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
জানা গেছে, গত মঙ্গলবার রাতে শিভানির মা-বাবা তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর দেহ গোপনে সরিয়ে ইয়ামুনা নদীর পাড়ে নিয়ে গিয়ে পুড়িয়ে দেয়, এবং রাতেই দেহের ছাই নদীতে ছড়িয়ে দেয়—যাতে কোনো প্রমাণ না থাকে। এই ঘটনায় যুক্ত ছিলেন শিভানির ভাই রবি ও বোন পূজাও।
পরদিন (বুধবার) সকালে শিভানির ফোন বন্ধ পেয়ে সন্দেহ করে অঙ্কিত এবং পুলিশকে জানায়। অঙ্কিত পুলিশকে জানায় যে কয়েকদিন আগে শিভানির পরিবার তাদের সম্পর্কে জানতে পারে এবং তখন থেকেই তার চলাফেরার ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে। এমনকি তাকে মারধরও করা হয় সম্পর্ক শেষ করতে বাধ্য করার জন্য। কিন্তু শিভানি তার সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন।
পুলিশের তদন্তের পর শিভানির বাবা-মা সঞ্জীব (সঞ্জু) ও ববিতা হত্যার কথা স্বীকার করেন। আর তাদের সঙ্গে তাদের ছেলে রবি এবং পূজা নামের শিভানির এক কাজিন যুক্ত ছিল বলে জানিয়েছে।
এই ঘটনায় শিভানির বাবা-মা ও কাজিন পূজাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করলেও মূল আসামি ভাই রবি এখনও পলাতক। অপরাধে ব্যবহৃত একটি পিকআপ গাড়ি নিয়ে পালিয়ে গেছে, বলে ধারণা করছে পুলিশ।
আরটিভি/এসআর/এস