images

এশিয়া

মিয়ানমার-থাইল্যান্ডের ভূমিকম্প: জীবিতদের খোঁজে উদ্ধার তৎপরতা

রোববার, ৩০ মার্চ ২০২৫ , ১১:৫৭ পিএম

images

শক্তিশালী ভূমিকম্পে মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডে ১৬০০ এর বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নীচে বেঁচে থাকা মানুষের সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে আসছে ক্রমশ। একটি ভবনের ধ্বংসস্তূপ থেকে আরো মরদেহের সন্ধান পেয়েছেন থাই উদ্ধারকর্মীরা। মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডে ভূমিকম্পের উদ্ধার অভিযান চলছে৷ ধ্বংসস্তূপে বেঁচে থাকা মানুষের সম্ভাবনা ক্রমশ ক্ষীণ হয়ে আসছে।

শুক্রবারে এই ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মিয়ানমার। মূল ভূমিকম্পের পরও একের পর এক কম্পন অনুভূত হচ্ছে সেখানে। রোববার মান্ডালায় পাঁচ দশমিক এক মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। শুক্রবারের মূল ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলও ছিল এটি। উৎসস্থলে শক্তিশালী সেই ভূকম্পনের মাত্রা সাত দশমিক সাত।

মিয়ানমারের দ্বিতীয় বৃহৎ এই শহর এখন প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ধসে পড়েছে ভবন, বিভিন্ন অবকাঠামো এবং বিমান বন্দরও। শহরের ১৫ লাখ মানুষের অনেকে রাত কাটিয়েছেন খোলা আকাশের নীচে৷ এর মধ্যেই চলছে উদ্ধার অভিযান।

তবে গৃহযুদ্ধের সংকটে থাকা মিয়ানমারের জন্য তা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিচ্ছে। সহযোগিতা পাঠাচ্ছে প্রতিবেশী দেশগুলো। অন্য দেশগুলো থেকেও সহায়তা আশ্বাস মিলেছে, তবে সব সহায়তা মিয়ানমারের পৌঁছেনি।

জান্তা প্রধান গণমাধ্যমে সব সামরিক ও বেসামরিক হাসপাতাল, স্বাস্থ্য কর্মীদের একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তবে প্রত্যন্ত কিছু এলাকায় সাধারণ মানুষ নিজেই উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

এখন পর্যন্ত দেশটিতে ১৬০০ এর বেশি মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে৷ আহত প্রায় ৩ হাজার ৪০০। হতাহতের সংখ্যা আরো অনেক বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এদিকে প্রতিবেশী থাইল্যান্ডের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে দেশটিতে ভূমিকম্প মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ জনে। তারা সবাই রাজধানী ব্যাংককের বাসিন্দা। বেশিরভাগই একটি বহুতল ভবন ধসে মারা গেছেন। সেখানে এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ৮০ জন। ৩০ তলা এই ভবনটি নির্মাণাধীন থাকায় বহু নির্মাণ কর্মী ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকা পড়েছেন। বড় বড় খনন যন্ত্র, কুকুর ও থার্মাল ইমেজিং ড্রোনের মাধ্যমে আটকে পড়াদের সন্ধান ও উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছেন উদ্ধার কর্মীরা।

আরটিভি/এএইচ