শনিবার, ১৭ মে ২০২৫ , ০৫:৩৮ পিএম
থাইল্যান্ডে পর্যটন ভিসার আবেদনকারীদের জন্য আর্থিক প্রমাণ দাখিল করার বাধ্যবাধকতা কার্যকর করা হয়েছে। চলতি মে মাস থেকেই কার্যকর নতুন নিয়ম অনুযায়ী, আবেদনকারীকে থাইল্যান্ডে অবস্থানকালে নিজেদের ভরণপোষণের আর্থিক সক্ষমতা প্রমাণ করতে হবে বলে ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
এর আগে, মহামারি পরবর্তী ভ্রমণ সহজ করার জন্য ২০২৩ সালের নভেম্বরে এই নিয়মটি সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছিল। নতুন নিয়ম ইতোমধ্যে থাইল্যান্ডে পর্যটন ভিসার নতুন নিয়ম- যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স এবং নরওয়েসহ বিশ্বব্যাপী থাই দূতাবাসগুলো কার্যকর করছে।
থাইল্যান্ডের সরকারি ই-ভিসা পোর্টালের বরাত দিয়ে আবেদনকারীদের এখন কমপক্ষে ২০ হাজার থাই বাত (প্রায় ৫৫০ মার্কিন ডলার) আর্থিক প্রমাণ হিসেবে জমা দিতে হবে। গ্রহণযোগ্য নথিপত্রের মধ্যে রয়েছে সর্বশেষ তিন মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট অথবা যদি অন্য কেউ ভ্রমণের খরচ বহন করে থাকে তাহলে তার স্পনসরশিপের চিঠি।
ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, আর্থিক নথিপত্রের পাশাপাশি, পর্যটন ভিসার আবেদনকারীদের নিম্নলিখিত কাগজপত্রও জমা দিতে হবে- কমপক্ষে ছয় মাসের জন্য বৈধ পাসপোর্ট, সাম্প্রতিক পাসপোর্ট সাইজের ছবি, বাসস্থানের প্রমাণ, যেমন ইউটিলিটি বিল বা ভাড়া চুক্তি, যাওয়া-আসার টিকিট যা প্রবেশের এবং প্রস্থানের তারিখ নিশ্চিত করে, আবাসনের বিবরণ, যেমন হোটেল বুকিং বা হোস্টের তথ্য, এই নথিগুলো একক-প্রবেশের পর্যটন ভিসার জন্য প্রয়োজনীয়। এ ধরনের ভিসায় সাধারণত, ৬০ দিন পর্যন্ত থাকার অনুমতি দেওয়া হয়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বর্তমানে, ৯৩টি দেশের পাসপোর্টধারীরা ভিসা ছাড়াই থাইল্যান্ডে ৬০ দিন পর্যন্ত থাকতে পারেন। তবে, এই নীতিটিও পর্যালোচনাধীন। ভিসা অপব্যবহারের উদ্বেগের কারণে থাই কর্তৃপক্ষ ভিসা-মুক্ত থাকার সময়সীমা কমিয়ে ৩০ দিন করার কথা বিবেচনা করছে।
তবে এ ব্যাপারে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি, তবে আগামী মাসগুলোতে এ বিষয়ে হালনাগাদ জানানো হতে পারে। আর্থিক প্রমাণের প্রয়োজনীয়তা আনুষ্ঠানিকভাবে পর্যটন ভিসার আবেদনের সঙ্গে যুক্ত। তবে অন অ্যারাইভাল ভিসায় ভ্রমণকারীদের সচেতন থাকতে হবে যে থাইল্যান্ডের ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা প্রবেশের সময় পর্যাপ্ত তহবিলের প্রমাণ চাইতেও পারেন। সব সময় এটি প্রয়োগ করা হয় না, তবে কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে নথি চাওয়ার অধিকার রয়েছে। এ ছাড়া প্রমাণ দেখাতে ব্যর্থ হলে প্রবেশে বাধা দেওয়াও হতে পারে।
আরটিভি/কেএইচ