images

ইউরোপ

যে কারণে কেমনিৎস ইউরোপের সাংস্কৃতিক রাজধানী

শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫ , ০৩:৫৫ পিএম

images

‘ইউরোপের সাংস্কৃতিক রাজধানী’ এর মর্যাদা দেয়া হয় জার্মান শহর কেমনিৎসকে। প্রতিবছর নতুন কোনো শহরকে এই উপাধি দেয়া হয়। এ বছর কেমনিৎসকে সাংস্কৃতিক রাজধানী ঘোষণা করা হয়েছে।

ইউরোপের সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবে জার্মান শহর কেমনিৎসের স্লোগান হচ্ছে সি দ্য আনসিন। অনেক অর্থ সহায়তায় শহরটি অজানা বিষয়াদি দৃশ্যমান করে তুলতে চাচ্ছে। ২০২৫ সালে সহস্রাধিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে কেমনিৎস। কিন্তু জার্মানির পূর্বকোনের শহরটির বাসিন্দাদের মধ্যে এই বিষয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। আদর্শ সমাজতান্ত্রিক শহরটির সবচেয়ে পরিচিত ল্যান্ডমার্কগুলোর একটি সমাজতন্ত্রের জনকদের একজন কার্ল মার্কসের বিশাল মূর্তি। গ্রানাইটের এই স্মারকটি শীতল যুদ্ধের সময় তৈরি করেছিলেন এক সোভিয়েত ভাস্কর।

কেমনিৎসের নাম তখন দেয়া হয়েছিল কার্ল-মার্কস-স্টাড্ট। এবং সেটি পূর্ব জার্মানির অংশ ছিল। ১৯৭১ সালে এটিকে আদর্শ সমাজতান্ত্রিক শহর ঘোষণা করা হয়েছিল। বর্তমানে ইউরোপের সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবে কেমনিৎস এমন সব মানুষের কাছে পৌঁছাতে চায় যারা সাধারণত শিল্পের প্রতি আগ্রহী নন।

শিল্পী ইয়ান কুমার বলেন, পারপল পাথ-এ অংশগ্রহণকারীদের একজন আমি এবং আমি মনে করি এটা সাংস্কৃতিক রাজধানীর চমৎকার প্রকল্প। ফলে এটার অংশ হতে পেরে আমি আনন্দিত। কেমনিৎসের কাছের ছোট্ট শহর গেয়ার্সডর্ফে বাড়তি সাইজের বটল ক্যাপ মাইস বসাচ্ছি আমি। শীতলযুদ্ধের সময় কেমনিৎস আধুনিকতার প্রতীক ছিল।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত শহরটিকে পরবর্তীতে সংস্কার করা হয়। ফ্রিৎস হেকার্ট জেলার ভবনগুলো এখনো পূর্ব জার্মানির কথা মনে করিয়ে দেয়। সাংস্কৃতিক রাজধানীতে এই ভবনগুলো বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে।

শিল্পী বেয়াটা ডুর্বার বলেন, যেহেতু এই প্রিফেব্রিকেটেড বিল্ডিংগুলো দীর্ঘদিন ধরে শহরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে, তাই আমি ভেবেছি এখান থেকে শুরু করাটা দারুণ হবে। কেমনিৎসের ফ্রিৎস হেকার্ট এলাকার অধিকাংশই এই প্রিফাব স্ল্যাব দিয়ে তৈরি। আমি সেগুলো ১:৩০ স্কেলে ধূসর কংক্রিটের মতো দেখতে ছোট ক্রাস্ট পেস্ট্রি আকারে পুনঃনির্মাণ করেছি। পরিত্যক্ত কারখানায় সাংস্কৃতিক প্রকল্প নাটকীয় পরিবর্তনের সঙ্গে মিলিয়ে চলতে শিখেছে কেমনিৎস। শহরটি একসময় অর্থনীতির শক্তিকেন্দ্র ছিল। কিন্তু ১৯৯০ সালে দুই জার্মানির পুর্নমিলনের পর এখানকার অধিকাংশ কারখানা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে কয়েক হাজার মানুষ চাকুরি হারান। বন্ধ হয়ে যাওয়া কিছু কারখানা সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। এক সময়ের লোকোমোটিভ কারখানা হার্টমানফাব্রিক এখন সাংস্কৃতিক রাজধানী উদ্যোগের প্রধান কার্যালয় এবং ক্রিয়েট ইউ প্রকল্পের কেন্দ্র।

ক্রিয়েট ইউর আনে শ্যোবার বলেন, আরো অনেক প্রকল্প রয়েছে যেখানে মানুষ অংশ নিতে পারেন। তারা তখন বলতে পারেন। আমি সিটিস্কেপের এখানে কিছু পরিবর্তন আনতে চাই। আমি শুধু ডানপন্থীরা এখানে মতামত দিক তা চাই না। আমি এটাও চাই যে আমাদের মতো তরুণরা যাতে সত্যিকার অর্থে সৃজনশীল হয়ে ওঠে এবং সাংস্কৃতিক রাজধানী, ক্লাব বা অন্য কোনো মুক্ত পরিবেশে সহায়তা করে। এখন অনেক সুযোগ আছে। সাংস্কৃতিক রাজধানী কেমনিৎস শীঘ্রই শিল্পের মাধ্যমে নিজেকে আবার খুঁজে পাবে।

আরটিভি/এএইচ