শনিবার, ০৬ মার্চ ২০২১ , ১০:৩৮ এএম
অনেক গর্ভবতী নারীই সন্তান প্রসবের সময় একসঙ্গে দুই বা ততোধিক সন্তান জন্ম দিয়ে থাকেন। গর্ভে একাধিক সন্তান ধারণ নতুন কিছু নয়। কিন্তু কেন যমজ সন্তান হয় তা কি আমরা জানি। কলকাতার আর জি কর মেডিকেল কলেজের স্ত্রী-রোগ বিশেষজ্ঞ ড. অরূপ মাজি এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
যমজ সন্তান দুই রকমের হতে পারে। প্রথমত ভ্রাতৃত্বপূর্ণ (Fraternal) ও দ্বিতীয়ত অভিন্ন (Identical) কারণে। ভ্রাতৃত্বপূর্ণ যমজ দুটি পৃথক পৃথক বিকাশ লাভ করে। অধিকাংশ যমজই ভ্রাতৃত্বপূর্ণ হয়ে থাকে। অসময়ে আকস্মিক ও প্রারম্ভে গর্ভধারণের জন্য কখনো কখনো একই ডিম বিভক্ত হয়ে অভিন্ন কারণে যমজ সৃষ্টি হয়ে থাকে।
যেসব কারণে যমজ সন্তান হয় : চিকিৎসকদের মতে যমজ সন্তান প্রসবের হার বাড়ছে। তাদের মতে বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসার জন্য যে সকল ওষুধ সেবন করা হয় তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকে যমজ সন্তানের জন্ম হয়। অনেক নারীই টেস্টটিউব বেবি নিয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে একাধিক ভ্রূণ মায়ের গর্ভে ট্রান্সফারের ফলেও যমজ সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বংশগত কারণ এবং বেশি বয়সে গর্ভধারণ বিশাল একটি কারণ বলেও মনে করছেন চিকিৎসকরা।
যে সকল সমস্যা হতে পারে : যমজ সন্তান হওয়ার ফলে অনেক সময় মা এবং শিশু দু’জনের শরীরেই জটিলতা দেখা দেয়। মায়ের শরীরে রক্ত স্বল্পতা দেখা যায়, প্রেসার বেড়ে যায়, রক্তক্ষরণ এবং শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা হওয়ারও সম্ভাবনা থাকে। বাচ্চা প্রসবের পর রক্তস্রাব বেশি হয় এবং ইনফেকশনের শঙ্কা থাকে। অনেক সময় সন্তান প্রসবে সমস্যা হয় এবং প্রি-টার্ম ডেলিভারির ক্ষেত্রে কখনো কখনো মায়ের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
চিকিৎসা : এমন পরিস্থিতিতে মা’কে বেশি বেশি বিশ্রাম নিতে হবে। পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। সন্তান প্রসবের আগে রক্তক্ষরণ বা শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা হলে ঘনঘন চেকআপ করাতে হবে। অ্যানিমিয়া রোধে আয়রন ফলিক অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়িয়ে তুলতে হবে এবং বাচ্চা প্রসবের সময় উপযুক্ত পরিকাঠামো হাসপাতালে ভর্তি করাতে হবে গর্ভবতীকে। সূত্র: কলকাতা টুয়েন্টিফোর সেভেন
এসআর/পি