images

লাইফস্টাইল / ফ্যাশন

আরামের সঙ্গী শর্ট প্যান্ট

শনিবার, ১৩ মে ২০১৭ , ০৩:৩৬ পিএম

গরম যেন অসহনীয় হয়ে উঠেছে। শহরজুড়ে একটু স্বস্তির জন্য এখন শুধু একফোটা বৃষ্টির আহ্বান। গরমের দিনে স্বস্তি খুঁজতে পরিবর্তন আনতে হয় পোশাকে। এই যেমন বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায়, বাসায় থাকলে কিংবা আশপাশে কোথাও গেলে তো আর ফরমাল পোশাক পরা যায় না। গরমে স্বস্তিদায়ক পোশাকগুলোই বেশি কাম্য।

এ সময়ে শর্ট প্যান্ট হতে পারে ভালো সঙ্গী। তরুণ থেকে মধ্যবয়সীদের জন্য এটি পারফেক্ট হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। গরমের দিন শেষ হলে বৃষ্টির সময়েও শর্ট প্যান্ট পরতে বাধা নেই। 

প্যান্টগুলোর ডিজাইন কিংবা রং নিয়ে অনেককেই ভাবতে দেখা যায়। পছন্দের দিকে খেয়াল রেখে এসব প্যান্ট বানানো হচ্ছে বিভিন্নভাবে। এ প্যান্টের কোনোটির নিচের দিকে লাগানো হচ্ছে ভিন্ন রঙের কাপড়ের কিছু অংশ। এতে প্যান্টটি আরও বেশি আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। এটাকে আমরা থ্রি-কোয়ার্টারও বলে থাকি। জনপ্রিয় হয়ে ওঠা থ্রি-কোয়ার্টারে এখন অনেক রং এবং ডিজাইনের ছড়াছড়ি।

তবে চেক থ্রি-কোয়ার্টার বেশি পছন্দ তরুণদের কাছে। তাছাড়া নরম কাপড়ের থ্রি-কোয়ার্টার যেহেতু আরামদায়ক, তাই অনেকেই শুধু কাপড়ের দিক লক্ষ করেই কিনছেন।

অনেক ধরনের হাফপ্যান্ট, শর্টস, থ্রি-কোয়ার্টার এখন বাজারে প্রচলিত। এসব প্যান্টে থাকছে দুপাশে দুটি পকেট, কোনটাতে বেশিও থাকতে পারে। আছে পকেট ছাড়া বা বেশি পকেটওয়ালা থ্রি-কোয়ার্টার। তবে যারা শুধু শর্টস পরেন, তারা এক পকেট বেশি প্রাধান্য দেন। থ্রি-কোয়ার্টার সুতি কাপড়ের ছাড়াও বেশ কয়েক রকমের আছে।

একরঙা থ্রি-কোয়ার্টার প্যান্টের মধ্যে কালো, লাল, কমলা, খাকি ও নীল রঙের চাহিদা বেশি। শর্টসের মধ্যে চেক ও একরঙা দুটিরই সমান চাহিদা। পানি-কাদা বা গরমে থ্রি-কোয়ার্টার প্যান্ট দেয় আরাম। জার্সি বা গেঞ্জি কাপড়ের তৈরি হাফপ্যান্টও পরছেন অনেকে। সহজে বাতাস চলাচলের জন্য কোনো কোনো প্যান্টে ওপরের দিক নেট কাপড়ের ব্যবহারও চোখে পড়ে।

এ ধরনের প্যান্ট খুব একটা ঢোলাও না আবার বেশি চাপাও না।

টাইট ফিটিং প্যান্টগুলোর সামনের অংশে চেইন অথবা বিভিন্ন রকমের স্টিলের বোতাম লাগানো থাকে। উজ্জ্বল রঙের প্রাধান্য বেশি লক্ষ করা যায় এসব প্যান্টে।

যেখানে পাবেন : থ্রি-কোয়ার্টার বা শর্ট প্যান্টগুলো পেতে চাইলে সন্ধান করতে পারেন যেকোনো ফ্যাশন হাউজগুলোতে। এছাড়া ঢাকা নিউমার্কেটের ভেতরে ও বাইরে দুই জায়গায়, বেইলি রোড, ধানমন্ডি, প্রিন্স প্লাজা, রাপা প্লাজা, বসুন্ধরা সিটি, পল্টন, গুলিস্তান, মিরপুর, গুলশান, বনানী এসব এলাকায়।

আরকে/ এমকে