শুক্রবার, ১৯ মে ২০১৭ , ১২:৪২ পিএম
শিশু চায় উড়তে। শিশু চায় ঘুরতে। শিশু তার নিজের মতো খেলতে চায় সারাদিন। কিন্তু তার মাঝেই শিশুকে একটু একটু করে শেখাতে হয় দায় এবং দায়িত্ব। বুঝিয়ে দিতে হয় খেলাধুলা, পড়াশোনা, হাসি কান্নার বাইরেও জীবনের প্রয়োজনে জীবনের কিছু কর্তব্য থাকে।
আজকে যে শিশু সে হয়তো বুঝবে না দায়, দায়িত্ব, কর্তব্য কি; কিন্তু আজ শিশুটি যা দেখল বা শুনল তা একদিন তার কানে বাজবে, চোখে ভাসবে। সবটুকু মনে না থাকলেও সামান্য হয়তো টুকে নেবে তার মন। আর সামান্য সামান্য হতে হতে বড় হবার সঙ্গে সঙ্গে আদব কায়দায়, দায় দায়িত্বে একদিন হয়তো পূর্ণ হবে আজকের শিশুটি।
শিশুরা পরিবার থেকেই সবচে’ বেশি শেখে। পরিবারই শিশুর মস্তিষ্ক গড়ার প্রথম এবং প্রধান কারিগর। তাই পরিবারকেই জানতে হবে শিশুটির কী প্রয়োজন। শিশুটিকে কীভাবে বড় করা দরকার। সময়ের সঙ্গে আগামীর কথা ভেবে পরিবারকেই পাঠদান করাতে হবে সুষ্ঠু ও সচেতনভাবে। মনে রাখতে হবে অভিভাবক ও পরিবারই শিশুর স্কুল। তার বাইরে আর কিছু নেই। ভালো ভালো বিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয় জীবিকার পথ বাতলে দেবে, পরিবারই দেবে জীবনের পথ নির্দেশনা। বলে দেবে তিল থেকে তাল হয়, ক থেকে হয় কোকিল।
শিশুকে যা শেখাতে চান তা হয়তো একদিনে হবে না। একদিনে কোনোকিছুই হয় না। একটি চর্চার মধ্যদিয়ে একটু একটু করেই সমৃদ্ধ হয় পৃথিবীর সবাই। তাই অধৈর্য বা বিরক্ত না হয়ে শিশুকে যেন সময় দেই আমরা। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে যেন চোখ রাখি সে কী করছে, কী দেখছে ও কী শিখছে। প্রতিদিন একটি একটি বিষয় যদি তার সামনে আলোচনা করি, তাকে দেখাই সেখান থেকে একটু একটু করেই সে গ্রহণ করবে।
কীভাবে শিশুকে দায়িত্ব নিতে শেখাবেন তার জন্য রইল কিছু টিপস।
আরকে/ এমকে