সোমবার, ১৯ মে ২০২৫ , ০৭:৪৪ পিএম
কোরিয়ানদের মতো উজ্জ্বল, টানটান, গ্লাসের মতো চকচকে ত্বক কে না চায়? তার জন্য নিয়মিত চর্চা ও পুষ্টিকর খাওয়াদাওয়ার পাশাপাশি দিনের শুরুটাও করতে হয় একটু আলাদাভাবে। আজকাল সকালে খালি পেটে ‘ডিটক্স ওয়াটার’ পান করার অভ্যাস তৈরি হয়েছে অনেকের। বিভিন্ন সবজি, মশলা কিংবা ফল ভিজিয়ে সেই পানি পান করলে শরীরের টক্সিন দূর হয়। ঠিক তেমনই ঢেঁড়শ ভিজিয়ে রাখা পানির সাথে হলুদ মিশিয়ে পান করার অসাধারণ উপকারিতা রয়েছে।
চলুন জেনে নিই ঢেঁড়শ ও হলুদ মেশানো পানি পান করার উপকারিতা—
ত্বক গ্লাস স্কিনের মতো চকচকে করে
ঢেঁড়শে ভিটামিন এ, সি এবং কে রয়েছে, যা ত্বক আর্দ্র রাখে। হলুদের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ব্রণ কমিয়ে ত্বকে উজ্জ্বলতা ফেরায়। নিয়মিত খেলে কোলাজেন বৃদ্ধি পায়, যার ফলে ত্বক হয়ে ওঠে নরম, মসৃণ এবং টানটান—একদম কোরিয়ান গ্লাস স্কিনের মতো।
শক্তিশালী স্বাস্থ্য টনিক
এই দুটি উপাদান একসাথে শরীরকে ডিটক্স করার পাশাপাশি ওজন নিয়ন্ত্রণ, ত্বকের পরিচর্যা এবং হজমের উন্নতিতে সহায়তা করে। চলুন দেখে নেওয়া যাক কোন কোন ক্ষেত্রে উপকার মিলতে পারে—
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে
ঢেঁড়শে থাকা ফাইবার শরীরে শর্করার শোষণ প্রক্রিয়া ধীর করে দেয়। এর ফলে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ স্থিতিশীল থাকে। ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়ায় বলে এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী।
হজমশক্তি বাড়ায়
ঢেঁড়শের ফাইবার অন্ত্র পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে এবং উপকারী ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। অন্য দিকে, হলুদের প্রদাহবিরোধী গুণ হজমতন্ত্রের জ্বালা-যন্ত্রণা কমিয়ে আরাম দেয়। পেট ফাঁপা, কোষ্ঠকাঠিন্যও হ্রাস করে।
ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
ঢেঁড়শ দীর্ঘক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে, ফলে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়। হলুদ হজমে সহায়তা করে এবং ক্যালরিও কম। ফলে এই পানীয় ওজন কমাতে সাহায্য করে।
হার্ট ভালো রাখে
ঢেঁড়শ এবং হলুদের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং ধমনীতে প্রদাহ কমায়। এতে হার্টের রোগের ঝুঁকি হ্রাস পায়।
কীভাবে তৈরি করবেন?
সতর্কতা
এই পানীয় কখনও কখনও গ্যাসের সমস্যা বাড়াতে পারে। তাই নিয়মিত খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
আরটিভি/জেএম