images

জাতীয়

ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ এখনো শঙ্কামুক্ত নয়, কমানো হবে বিপদ সংকেত (ভিডিও)

মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০১৭ , ১২:২৯ পিএম

images

ঘুর্ণিঝড় মোরা টেকনাফ, সেন্টমার্টিন, কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের পর ভোলা, হাতিয়া, চাঁদপুর অঞ্চলে অবস্থান করছে। শক্তি কমলেও, এখনো শঙ্কামুক্ত নয়। ১২ ঘণ্টার মধ্যে বিপদ সংকতে কমানো হবে। আগামি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আবহাওয়া স্বাভাবিক হবে। জানালেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের  পরিচালক সামসুদ্দিন আহমেদ।

মঙ্গলবার বেলা ১১টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, এটির শক্তি ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে। তবে যেকোন স্থানে যে কোনো সময় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

সামসুদ্দিন আরো জানান, ঘূর্ণিঝড় মোরা সিলেট হয়ে ভারতের মণিপুরে গিয়ে শেষ হবে। তবে সিলেটে ঝড় বা বাতাস না হলেও হালকা বা ভারী বৃষ্টি হতে পারে।

আজ ভোরে প্রথম ঘূর্ণিঝড় ‘মোর’ আঘাত হানে টেকনাফ ও সেন্টমার্টিনে। সেখানে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৩৫ কিলোমিটার ও ১১৪ কিলোমিটার।

তিনি বলেন, এ ঘূর্ণিঝড়টি বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন গতিবেগে আঘাত হেনেছে। মোরা উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে ধীরে ধীরে নিম্নচাপে পরিণত হবে। আগামি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আবহাওয়া স্বাভাবিক হবে। তারপর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে।

এদিকে, সোমবার সন্ধ্যা থেকে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর ও কক্সবাজার উপকূলীয় এলাকায় ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।

এছাড়াও উপকূলীয় জেলা নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং এগুলোর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোও ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

একই সঙ্গে মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আর উপকূলীয় জেলা বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, পিরোজপুর, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং এগুলোর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চর থাকবে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায়।

আবহাওয়া অফিস থেকে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় মোরাকে অবহেলার সুযোগ নেই। এতে স্বাভিক জোয়ারের চেয়ে ৫ থেকে ৬ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।

এদিকে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ মোকাবিলায় সরকার সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকার সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন।

  

 

জেএইচ