images

জাতীয়

কালু ভাইয়ের দাম ১০ লাখ

সোমবার, ২৮ আগস্ট ২০১৭ , ০৭:৫০ পিএম

images

আট দাঁত ও ২০মণের শরীর নিয়ে এতোদিন রাজশাহীর দুর্গাপুরে রাজত্ব করেছে কালুভাই। এবার অতিথি হয়ে এসেছে আফতাব নগরের কোরবানির হাটে। এলাকা জুড়ে তার হাক ডাক ছিল বেশ। কিন্তু আফতাব নগরে কালুভাই এদিক সেদিক তাকিয়ে দেখছে রাজধানী ঢাকার মানুষদের।

অনেকেই তাকে দেখছে চারদিক ঘুরে। আবার কেউ কেউ শরীরে হাত দিয়ে তুলনা করছে হাতির সঙ্গে। কালুভাইয়ের মালিক মো.শফিকুল ইসলাম। রাজশাহীর বাসিন্ধা তিনি। সখ করে গরু পালেন।

শফিকুল বলেন, একজন ক্রেতা জানতে চেয়েছিলেন, কত দাম হলে তিনি গরুটি বিক্রি করবেন? যিনি ভালো দাম দেবেন, তার কাছেই প্রিয় গরুটিকে কোরবানির জন্য বিক্রি করবেন। তবে তিনি কালু ভাইয়ের দাম ১০ লাখ টাকা হাঁকছেন বলে জানালেন।  

শফিকুল বলেন, বছর ৫ আগে সে পাশের গ্রামে বেড়াতে গিয়ে কালু ভাইকে কেনেন। কালুভাই বাছুর থাকার সময়ও বেশ নাদুসনুদুস ও চটপটে স্বভাবের ছিল। রীতিমত প্রথম দেখাতে বাছুরটির প্রেমে পড়ে শফিকুল। তাই হাট থেকে বাছুরটি কিনেই তবে বাড়ি ফেরেন তিনি। দেখতে দেখতে বাছুরটির সাথে বেশ সখ্যতা হয়। গরুটির কিছু আচরণে মুগ্ধ হন শফিকুল। খুবই চঞ্চল দেখালেও বাস্তবে সে খুব শান্ত। পরে দুষ্টামি করে তাকে  কালু ভাই বলে ডাকেন শফিকুল।

এ ডাকে কালু ভাইও বেশ সাড়া দেন। পুষ্টি আর সুস্থ শরীরের কারণে ধীরে ধীরে কালু ভাই শফিকুল থেকে লম্বা হয়ে যায়। হয়ে ওঠে ছোট্ট হাতির মত।

শফিকুল বলেন, কালু ভাইয়ের রুচি বেশ ভালো। এখন প্রতিদিন তাকে খাওয়ানোর পেছনে খরচ হয় ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। খড়, ভুসি, চিটা গুড়, খৈল, লবণ, কাঁঠাল, কাঁচাসবজি, কাঁচাঘাস  ইত্যাদি খাবার খাইয়ে তাকে বড় করে তোলা হয়েছে। প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ কেজি ভুসি ও কাঁচাঘাস খায় কালু ভাই।

শফিকুল জানালেন সোমবার সকালে কালু ভাইকে নিয়ে তিনি ৩০ হাজার টাকা ট্রাক ভাড়া দিয়ে হাটে নিয়ে এসেছেন।  

তিনি বলেন, এসেই কালু ভাইয়ের থাকার জন্য ভালো একটা জায়গার ব্যবস্থা করলাম। যাতে তার থাকতে কষ্ট না হয়। হাটের ৪নং বুথের রাস্তার পাশেই জায়গা পেলাম কালু ভাইয়ের থাকার জন্য। 

রোববার দুপুরে দেখা গেল, শফিকুলের গরুটিকে ঘিরে আছেন ২৫ থেকে ৩০ জন দর্শনার্থী। কেউ ছবি তুলছেন কেউবা ঘুরে ঘুরে দেখছেন কালু ভাইকে।

এমসি/এমকে