images

জাতীয় / শিল্প

চামড়া নষ্ট হওয়া নিয়ে যা বলছে শিল্প মন্ত্রণালয়

বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫ , ০১:৩৯ এএম

images

মৌসুমি ব্যবসায়ীদের কাঁচা চামড়ায় লবণ না দিয়ে দর কষাকষি এবং আড়তদারের কেনার অনীহায় কিছু চামড়া নষ্ট হয়েছে বলে দাবি করেছে শিল্প মন্ত্রণালয়। 

বুধবার (১১ জুন) মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেনের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি করা হয়। 

শিল্প মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এবার কোরবানি ঈদে এতিমখানা ও লিল্লাহ বোডিংগুলোতে রেকর্ড পরিমাণ ১৩ লাখ ৮ হাজার চামড়া সংরক্ষণ করা হয়েছে। এ ছাড়া, সারাদেশে আড়তদার, ব্যবসায়ী, ট্যানারি মালিকরা নিজ নিজ ব্যবস্থাপনায় নিজস্ব অর্থায়নে লবণ সংগ্রহ করে চামড়া সংরক্ষণ করেছে। 

এতে আরও বলা হয়, ২০২৫ সালে পশুর চাহিদা অনুযায়ী চামড়া সংরক্ষণে লবণের প্রয়োজন ধরা হয়েছিল ৬১ হাজার ৭৪৮ মেট্রিক টন। সে অনুযায়ী স্থানীয় পর্যায়ে চামড়া সংরক্ষণের জন্য লবণের মজুত করা হয়েছিল ৯৩ হাজার ২২৯ মেট্রিক টন। জেলায় চামড়া সংরক্ষণের জন্য লবণের পর্যাপ্ত মজুদ ছিল, কোথাও কোন ঘাটতি ছিল না। এরপরেও দেশের কয়েকটি স্থানে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনার খবর বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচারিত হয়েছে যা অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্ক্ষিত।
 
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, কিছু মৌসুমি ব্যবসায়ী চামড়ায় লবণ না দিয়ে আড়তদারদের কাছে বেশি দামে বিক্রি করার জন্য দীর্ঘ সময় ধরে দর কষাকষি ও আড়তদাররা কিনতে অনীহা প্রকাশ করায় মূল্যবান চামড়া নষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। 

দেশের এতিমখানা ও লিল্লাহ বোডিংগুলোর চাহিদা অনুযায়ী বিনামূল্যে লবণ সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়েছে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই প্রথম সরকারের এ বিশেষ  উদ্যোগের ফলে গতবছর এতিমখানা ও লিল্লাহ বোডিংগুলোতে যেখানে ২ লাখ ৯ হাজার লক্ষ চামড়া সংরক্ষণ করেছিল, সেখানে এ বছর ৯ হাজার ৩৩০টি প্রতিষ্ঠান প্রাথমিক হিসাবে ১৩ লাখ ৮ হাজার চামড়া সংরক্ষণ করেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এ বছর সাভার ট্যানারি নগরের সিইটিপিতে প্রয়োজনীয় কেমিক্যাল মজুদ, ইঞ্জিনের ওভারহলিং ও পুকুর খননসহ অন্যান্য প্রস্তুতিমূলক কাজ আগেই সম্পন্ন করা হয়েছে। কোরবানি করা পশুর মাথা, লেজ ও অন্যান্য অংশ ডাম্পিং ইয়ার্ড ও অন্যান্য স্থানে না ফেলার জন্য আগেই সকল ট্যানারি মালিকগণকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। ৮টি প্রতিষ্ঠানকে ট্যানারির বাইরে নিয়ে বিক্রি করার অনুমতিও দেওয়া হয়।

এতে আরও বলা হয়, লক্ষ্য করা গেছে যে, অল্প কিছু মাথা–লেজ ইত্যাদি নদীর পাড়ে ফেলেছে শিল্পনগরী ও সিইটিপির অজ্ঞাতসারে। আর যাতে কেউ এগুলো কোথাও ফেলতে না পারে সেজন্য সতর্কতা অবলম্বন করা হবে।

আরটিভি/কেএইচ