সোমবার, ০৬ মার্চ ২০১৭ , ০১:৪৭ পিএম
কাওমি মাদরাসা ভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামের সুপারিশে পাঠ্যপুস্তক থেকে দেশের স্বনামধন্য লেখকদের লেখা বাদ দেয়া কেনো অবৈধ নয়, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
সোমবার বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি আবু তাহের মোহাম্মদ সাইফুর রহমানের হাইকোট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আনোয়ার হোসেনসহ দু’জনের রিট আবেদনের শুনানি শেষে এ রুল জারি করা হয়।
আসছে চার সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষাসচিব ও জাতীয় পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যানকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ।
২০১৭ শিক্ষাবর্ষে পাঠ্যবইয়ে যেসব পরিবর্তন আনা হয়। এরপরই দেশে তা নিয়ে সমালোচনা ঝড় ওঠে। হেফাজতে ইসলাম দাবি করে পাঠ্যবইয়ে হিন্দুত্ববাদের প্রচার চলছে। তাই কিছু সংযোজন ও বিয়োজনের কথা বলে সংগঠনটি।
হেফাজতের প্রস্তাবের মোট ২৯টি বিষয় সংযোজন ও বিয়োজনের কথা বলা হয়েছিল। এর মধ্যে এ দু’টি লেখারও উল্লেখ ছিল। ২৭টি লেখা গ্রহণ ও বর্জন করা হলেও দেখা যায়, দাবি অনুযায়ী ২০১৩ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত থাকা অষ্টম শ্রেণির ‘রামায়ণ-কাহিনি’ (লেখক উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরী) এবং সপ্তম শ্রেণির ‘লালু’ (শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়) গল্পটি রয়েই গেছে। পরবর্তীতে ছাপা বই বাতিল করা হয় এবং সংশোধনের পর নতুন করে ছাপা হয়।
এইচটি/ জেএইচ