images

অন্যান্য

অনুমোদনহীন ওষুধ ও শিশুখাদ্যে বাজার সয়লাব

শুক্রবার, ১০ মার্চ ২০১৭ , ১১:৩৫ এএম

আইন অমান্য করে রাজধানীর ওষুধের দোকানগুলোতে বিক্রি হচ্ছে বিএসটিআই ও ওষুধ প্রশাসনের অনুমোদনহীন শিশুখাদ্য ও শিশুদের ভিটামিন। ফার্মেসি মালিকরা বলছেন, অনুমোদনহীন ভিটামিন চিকিৎসকরা প্রেসক্রিপশনে লিখেন বলেই তারা তা বিক্রি করেন। এসবের বিরুদ্ধে মাঝে-মধ্যে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান চললেও স্থায়ীভাবে এ সমস্যার সমাধান হচ্ছে না।  

মাতৃদুগ্ধ আইন, বিকল্প শিশুখাদ্য বিপণন নিয়ন্ত্রণ আইন ও ড্রাগ এ্যাক্টের তোয়াক্কা না করে বিদেশ থেকে আনা শিশুখাদ্য ও ভিটামিনে সয়লাব হয়ে গেছে রাজধানীর ওষুধের বাজার। 

সরেজমিনে কয়েকটি ওষুধের দোকানে দেখা গেলো নামি-দামি বেশ কয়েকটি কোম্পানির গুঁড়োদুধ, শিশুখাদ্য ও ভিটামিন বিএসটিআইয়ের অনুমোদন নেই। নেই ওষুধ প্রশাসনের অনুমোদনও। আবার কিছু প্যাকেটে অনুমোদনের ভুয়া স্টিকার লাগানো। সে সঙ্গে মেয়াদ উত্তির্ণ তারিখও আলাদাভাবে লিখে স্টিকার লাগানো আছে। 

ওষুধ বিক্রেতারা বলছেন, এ বিষয়ে তাদের কোন দায় নেই।  অনুমোদনের সমস্ত দায়িত্ব কোম্পানির।  তারা বলেন, প্রেসক্রিপশনে লেখা বন্ধ হলে অনুমোদনহীন ওষুধ বিক্রিও বন্ধ হবে। কোম্পানিগুলোর এমন অনিয়মের কথা বিএসটিআই কর্তৃপক্ষেরও অজানা নয়। তাদের দাবি আইন অমান্যকারী কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় ব্যবস্থা নেয়া হয়। তবে লোকবল সংকটের কারণে তা পর্যাপ্ত ও দৃশ্যমান হচ্ছে না বলে জানান বিএসটিআই এর সহকারি পরিচালক আরাফাত হোসেন সরকার।

অনুমোদনহীন শিশুখাদ্য ও ওষুধের বিরুদ্ধে মাঝেমধ্যে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম। তিনি বলেন, এ পর্যন্ত অভিযানে ছয় হাজার ছয়শ’ মামলা, ড্রাগ কোর্টে ৪৬টি মামলা, আট কোটি টাকা জরিমানা ও ৮০ কোটি টাকার ওষুধ জব্দ করা হয়েছে। এসব করেও অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের সঙ্গে পেরে ওঠা যাচ্ছে না।

অসাধু চিকিৎসক ফার্মেসি ও বহুজাতিক কোম্পানির বেপরোয়া আচরণ ঠেকাতে শাস্তির বিধান আরো কঠোর করে তা প্রয়োগের ব্যবস্থা করলে অবস্থার উন্নতি হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

আর/ এমকে