রোববার, ১২ মার্চ ২০১৭ , ০৪:১০ পিএম
‘ইচ্ছে ছিল তোমাকে সম্রাজ্ঞী করে সাম্রাজ্য বাড়াবো
ইচ্ছে ছিল তোমাকেই সুখের পতাকা করে,
শান্তির কপোত করে হৃদয়ে ওড়াবো।’
আধুনিক কবি হেলাল হাফিজের মুখ নিঃসৃত বাক্যগুলো যে কারো মাথায় ঘুরপাক খেতে পারে ঢাকার খুব কাছে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও’র ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন শহর পানাম নগরে প্রবেশ করলে।
এ নগরে রয়েছে উপনিবেশকালের চমৎকার দোতলা, একতলা বাড়ি, বাংলার কৃষ্টি-কালচার এবং ইংরেজ শাসনামলের অনন্য নিদর্শন; যা নিমিষেই চোখ জুড়িয়ে দেবে দর্শনার্থীদের।
১৫ শতকে বাংলার স্বাধীন রাজা ঈসা খাঁর আমলে স্থাপত্যকলার অনন্য নিদর্শন পানাম নগরী গড়ে ওঠে। বড় নগর, খাস নগর, পানাম নগর-প্রাচীন সোনারগাঁও’র তিন নগরের মধ্যে সবচে’ আকর্ষণীয় ছিল পানাম। প্রায় ২০ বর্গকিলোমিটারজুড়ে গড়ে ওঠে আকর্ষণীয় স্থাপত্য ভরা এ নগরী।
ঈসা খাঁ ছিলেন বাংলার বারো ভুঁইয়াদের (১২ জন জমিদার) প্রধান। তিনিই প্রথম রাজধানী স্থাপন করেন সোনাগাঁওয়ে। ওই সময় শহরের পূর্বে মেঘনা ও পশ্চিমে শীতলক্ষ্যা নদী বহমান ছিল। এ দু’নদীপথে বিলেত থেকে আসতো বিলাতি থানকাপড়। আর দেশ থেকে যেতো ঐতিহ্যবাহী মসলিন। শীতলক্ষ্যা আর মেঘনার ঘাটে প্রতিদিনই ভিড়তো পালতোলা নৌকা।
প্রায় একই সময়ে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বাণিজ্যিক কার্যক্রম এবং চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ফলে ইউরোপীয় অনুপ্রেরণায় নতুন উপনিবেশিক স্থাপত্যরীতিতে গড়ে ওঠে পানাম নগরী। পরবর্তীতে পোশাক বাণিজ্যের স্থান দখল করে নেয় নীল। ইংরেজরা এখানে বসায় নীলের বাণিজ্যকেন্দ্র।
ইতিহাসবিদদের মতে, সোনারগাঁও’র প্রাচীন শহর ছিল পানাম।
এ নগরীতে সুলতানী আমল থেকে বিকশিত ছিল বাংলার সংস্কৃতি। যা এখনো মুগ্ধ করে দর্শনার্থীদের।
এপি