বৃহস্পতিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ , ০৫:১০ পিএম
বাসায় অবস্থান করেও মধ্য রাতে বখাটেদের দ্বারা হেনস্তার শিকার হয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের চার ছাত্রী।
গতকাল বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ১২টায় ক্যাম্পাসের পার্শ্ববর্তী শেখপাড়া বাজারের একটি বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
চার ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চতুর্থ বষের্র শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন : রাকিবকে চোর বললেন নাসিরের মডেল বান্ধবী
ভুক্তভোগী ছাত্রীরা জানান, ক্যাম্পাসের পার্শ্ববর্তী শেখপাড়া বাজারসংলগ্ন এলাকার একটি বাসায় আমরা চারজন থাকি। বৃহস্পতিবার দিনগত রাত আনুমানিক ১২টার দিকে তিন-চারজন যুবক বাসার জানালায় আঘাত করতে থাকে। একইসঙ্গে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। ওই সময় আমরা প্রচণ্ড ভয় পাই এবং চিৎকার করতে থাকি। পরে বাড়ির মালিকসহ আশেপাশে অবস্থানরত লোকজন চলে আসে। মানুষের উপস্থিতি টের পেয়ে বখাটেরা পালিয়ে যায়। আমরা বিভাগের শিক্ষক ও শেখ হাসিনা হল প্রভোস্ট ড. সেলিনা নাসরিনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করি। সেই মুহূর্তে কেউ ফোন রিসিভ করেননি। এছাড়াও শৈলকুপা থানার পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করি। আমরা প্রাথমিকভাবে কারো কোনও সাড়া পাইনি। পরে রাত দুইটার দিকে আবারো বখাটেরা জানালার কাছে এসে আমাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। আমরা সঙ্গে সঙ্গে আবারও প্রক্টর ড. জাহাঙ্গীর হোসেনকে ফোন করি। তিনি ফোন রিসিভ করলে বিষয়টি অবহিত করি। এ সময় বখাটেরা পালিয়ে যায়। ঘটনার চার ঘণ্টা পর ভোর চারটার দিকে পুলিশ আসে। পুলিশ ঘটনা শুনে চলে যায়। এরপর সকালে সহকারী প্রক্টর আমাদের সঙ্গে কথা বলে।
এ বিষয়ে ছাত্রীদের অভিযোগ, রাত ১২টার ঘটনা প্রক্টর ও পুলিশকে অবহিত করার পরও রাত চারটায় ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। এ সময় বড় দুর্ঘটনায় তো ঘটতে পারতো। বিপদের সময় আমাদের পাশে কেউ নেই। এমন নিরাপত্তাহীনতায় আমরা থাকতে চাই না। অতি দ্রুত জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি। বিষয়টি নিয়ে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেব।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ছাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনকে আমরা বারবার অভিহিত করেছি। দিন শেষে বহিরাগতদের দ্বারা ছাত্রীরা হেনস্তার শিকার হলো। এ ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার হওয়া জরুরি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলাম আরটিভি নিউজকে বলেন, সকালের দিকে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছি। ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিতে প্রক্টর স্যার পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে কথা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এ বিষয়ে শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আমাকে রাত সাড়ে তিনটার দিকে বিষয়টি জানিয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিলো। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন , ‘ বিষয়টি নিয়ে রাত থেকে আমি পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিতের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।’
জেবি