শুক্রবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ০১:৪৮ পিএম
সাধারণত ঠোঁটে বা নাকের পাশে অনেকের জ্বরঠোসা হয়। শীতকালে অথবা জ্বরের পরেই এটি বেশি দেখা যায়। জ্বরঠোসায় ব্যথা হয় অনেক, যার জন্য সারাদিন একটা অস্বস্তিকর অনুভুতির মধ্যে থাকতে হয়।
এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলেন, জ্বরঠোসা ছোঁয়াচে। এটি ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রমিত রোগ, আর এ থেকে সেরে উঠতেও সময় লাগে। অনেকে আবার বলেন ভিটামিনের অভাবসহ শরিরের ইমিউনিটি দুর্বল হলে জ্বরঠোসা হয়।
সাধারণত জ্বরঠোসা হলে নিজে নিজেই সেরে যায়। আবার সেরে যাওয়ার পর কোনো দাগও থাকে না। তবে লক্ষণ উপশমে কিছু কার্যকর পরামর্শ মেনে চলতে পারেন।
জেনে নিন যন্ত্রণাদায়ক জ্বরঠোসা দ্রুত সারানোর কয়েকটি ঘরোয়া উপায়-
নারকেলের পানি জ্বরঠোসের জন্য বেশ কার্যকরী । দিনে দুই থেকে চার গ্লাস নারকেলের পানি পান করলে অল্প সময়ের মধ্যে সেরে উঠবে জ্বরঠোস।
অ্যান্টি ভাইরাল উপাদান সমৃদ্ধ টি ট্রি অয়েল তুলোয় নিয়ে জ্বরঠোসায় দিনে দুবার ব্যবহার করুন। দ্রুত সারাতে নিয়মিত ব্যবহার করুন।
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফলের জুস খেতে পারেন। এতে আপানার শরিরের ভিটামিন সির ঘাটতি পূরণ করে দ্রুত সেরে উঠতে সাহায্য করবে।
টিস্যু অথবা পাতলা সুতি কাপড়ে অ্যাপেল সিডার ভিনিগার ভিজিয়ে জ্বরঠোসার ওপরে লাগান। কিছুদিন নিয়মিত এই উপাদানটি ব্যবহারেই উপকার পাবেন।
একটি রসুনের দুই থেকে তিনটি কোয়া বেটে নিয়ে ক্ষত স্থানে দিনে দুই থেকে তিনবার লাগান। দ্রুত উপকার পেতে কাজটি নিয়মিত করুন।
অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল সমৃদ্ধ মধু ক্ষতস্থানে পাঁচ থেকে দশ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। জ্বরঠোসা দ্রুত সারাতে দিনে দুবার ব্যবহার করুন।
ঠোঁটকে সব সময় ময়েশ্চারাইজ করে রাখবেন, যেন ঠোঁট শুকিয়ে না যায়।
জ্বরঠোসা হলে ব্যথার কারণে অনেকেই খাবার ও পানি খাওয়া কমিয়ে দেয়। ফলে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। তাই পর্যাপ্ত পানি পান করা উচিত।
উল্লেখ্য, নবজাতক শিশু, গর্ভবতী নারী ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল এমন ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। সঠিক চিকিৎসা জ্বরঠোসা থেকে সৃষ্ট জটিলতা প্রতিরোধে সাহায্য করে।