রোববার, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ , ০৮:৫৫ পিএম
পুরো বিশ্বে অসংখ্য শিশু এডিএইচডি (অ্যাটেনশন ডেফিসিট হাইপার অ্যাক্টিভিটি ডিজওর্ডার) রোগে আক্রান্ত। মানসিক এই রোগ পরিণত বয়সেও ভোগাতে পারে। এডিএইচডি রোগে আক্রান্তদের মাঝে স্বাভাবিকের চাইতে অতিমাত্রায় চঞ্চলতা, জেদ বা রাগ দেখা যায়।
কাজে মনোযোগ ধরে রাখা তাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে। কোনো কাজের শেষ পরিণতি চিন্তা না করেই সিদ্ধান্ত নেয়। সব কাজে প্রচণ্ড তাড়াহুড়া করে। ফলে একসময় তাদের আত্মমর্যাদাবোধ কমে যায়, সম্পর্কে টানাপোড়ন সৃষ্টি করে এবং শিক্ষাজীবনে পদে পদে ব্যর্থতার সম্মুখীন হতে হয়।
বিশেজ্ঞদের মতে, সঠিক পদক্ষেপ সময়মতো নিলে বয়স বাড়ার সঙ্গে সমস্যার তীব্রতা কমতে পারে। তবে অনেক ক্ষেত্রে কোনো চিকিৎসায়ই এই রোগ থেকে মুক্তি নাও মিলতে পারে, ফলে সেটা হয়তো কারও সারাজীবনের সঙ্গী হয়ে উঠবে। তবে প্রাথমিক অবস্থায় রোগ শনাক্ত করে ওষুধ ও আচরণগত পরিবর্তন আনার মাধ্যমে একে নিয়ন্ত্রণে আনতে হয়। সেটি না করলে একজন মানুষের ব্যক্তিগত ও কর্মজীবন উভয়ই ধ্বংস হতে পারে।
এডিএইচডির লক্ষণ ও উপসর্গ :
এডিএইচডির উপসর্গগুলো জানা থাকলে সমস্যা দ্রুত শনাক্ত করতে এবং যথাযথ যত্নের সঙ্গে চিকিত্সা করতে সুবিধা হয়। এডিএইচডি আক্রান্ত শিশুদের নিম্নোক্ত কিছু লক্ষণ দেখা দেয়।
এডিএইচডি আক্রান্ত শিশুদের যে বিষয়গুলো প্রভাবিত করে :
শিক্ষাগত প্রভাব : ADHD শিশুদের সাধারণত নির্দেশাবলি অনুসরণ করতে সমস্যা হয়। তারা দীর্ঘ সময়ের জন্য একটি একক কাজের ওপর ফোকাস করতে পারে না। এই কারণগুলো একটি স্কুল বা অনুরূপ শিক্ষাগত পরিবেশে শিশুদের এবং তাদের শিক্ষাগত বৃদ্ধির জন্য উল্লেখযোগ্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
ব্যক্তিগত প্রভাব : যেসব বাড়িতে শিশুদের ADHD আছে, সেখানে পারিবারিক সমস্যা সাধারণত দেখা যায়। এই পরিস্থিতিতে, যুবক তাদের নিজের বাড়িতে অস্বস্তি বোধ করতে পারে। উপরন্তু, একটি পরিপূর্ণ পিতা-মাতা-সন্তান সংযোগও যুবকের জন্য চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। এটি শিশুর প্রতিকূল হতে পারে।
সামাজিক প্রভাব : ADHD শিশুদের জন্য একটি পরিপূর্ণ সামাজিক জীবন যাপন করা কঠিন করে তোলে। এটি শিশুদের সামাজিক দক্ষতা বিকাশের ক্ষমতাকে প্রভাবিত করতে পারে। এডিএইচডি আক্রান্ত শিশুদের জন্য তাদের ভাইবোনদের সঙ্গে বন্ধনে অসুবিধা হওয়াও সাধারণ।