images

অন্যান্য / স্বাস্থ্য

ডেঙ্গুজ্বরের লক্ষণ, গুরুতর উপসর্গ ও প্রতিকার

বুধবার, ১৯ জুলাই ২০২৩ , ০৭:৩২ পিএম

images

দিনে দিনে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ১২৭ জন। হাসপাতালে ভর্তি আছেন সাড়ে ৫ হাজার রোগী। এ সংখ্যা যেন হু হু করে বাড়ছে। সামান্য জ্বর নিয়ে পরীক্ষা করলে অনেকেরই ধরা পড়ছে ডেঙ্গু। এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে দ্রুত। এ কারণে ডেঙ্গু নিয়ে বিশেষ সতর্ক থাকা জরুরি। 

ডেঙ্গুজ্বরের লক্ষণ :
ডেঙ্গুজ্বর হলো একটি এডিস মশাবাহিত ভাইরাসজনিত রোগ। ডেঙ্গুর সাধারণ উপসর্গ হলো
তীব্র  জ্বর (40°C/104°F), মাথার যন্ত্রণা, চোখের পেছন, মাংসপেশী এবং অস্থিসন্ধিতে ব্যথা অনুভূতি, বমিভাব মাথাঘোরা, গ্রন্থি ফুলে যাওয়া, ত্বকের বিভিন্ন স্থানে ফুসকুড়ি। দ্বিতীয়বার ডেঙ্গু তে আক্রান্ত হলে রোগের ভয়াবহতা বৃদ্ধি পায়। সেই কারণে পূর্বে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের অতিরিক্ত সতর্কতা মেনে চলা উচিত

ডেঙ্গুর গুরুতর উপসর্গগুলো অথবা (Warning sign) হলো : 
প্রচণ্ড পেট ব্যথা, বমি হওয়া, মুখ বা নাক থেকে রক্তপাত, প্রস্রাবে এবং মলের সঙ্গে রক্তপাত, পাতলা পায়খানা, ত্বকের নিচে রক্তক্ষরণ, দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস ও অস্থিরতা।

জ্বর হলে ডেঙ্গু NS1 টেস্ট ও সিবিসি কাউন্ট তিন দিনের মধ্যে করিয়ে নিতে হয়। তিন দিন পরে রক্তে এন্টিজেন পাওয়া যায় না, তাই তিন দিন পার হয়ে গেলে IgG, IgM, করতে হবে।

ডেঙ্গু পজেটিভ হলে জ্বরের জন্য শুধু প্যারাসিট্যামল খেতে হবে। কোনো ধরনের ব্যথার ওষুধ বা এন্টিবায়োটিক খাওয়া যাবে না। ডেঙ্গুজ্বরে বাসায়ই ৮০ শতাংশ রোগী সুস্থ হয়ে যায়। বাকি ২০ শতাংশের হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন পড়ে। কিছু রোগী খারাপের দিকে যায়। ডেঙ্গু হলে আতঙ্কিত না হয়ে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শমতো চলতে হবে। 

ডেঙ্গু একটি মশাবাহিত রোগ। তাই মশার কামড়ের হাত থেকে নিজেকে এবং আপনার পরিবারকে বাঁচান। বাড়ির চারপাশে পানি জমতে দেবেন না। জমা পানিতে মশারা বংশবিস্তার করে। ফুলদানি বা টায়ারের জমে থাকা পানি ফেলে দিন। শরীর ঢাকা জামাকাপড় পরুন। সচেতন থাকুন ও সুস্থ থাকুন। অবহেলা করবেন না, ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

ডা. আয়শা আক্তার, সহকারী পরিচালক, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট টিবি হাসপাতাল, শ্যামলী, ঢাকা