মঙ্গলবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ , ০৩:০০ পিএম
বাংলাদেশের প্রথম স্বাধীন জেলায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণাকে এগিয়ে নিতে ২০০৭ সালের ২৫ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠা করা হয় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। বয়সে খুব কম হলেও গবেষণায় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান কিন্তু কোন অংশেই কম নয়। প্রতিষ্ঠার ১৬ বছরে এই বিশ্ববিদ্যালয় যেমন অনেক কিছু অর্জন করেছে ঠিক একইভাবে এই বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বমানের গ্রাজুয়েট তৈরি করেছে।
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য একুশে পদক জয়ী বিশিষ্ট অণুজীববিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন দায়িত্ব নেওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় অনেক এগিয়েছে এবং একের পর এক রেকর্ড সৃষ্টি করেই চলেছে।
২০২০ সালে করোনার ভয়ানক থাবায় যখন সারাবিশ্ব বিপর্যস্ত বাংলাদেশও এর বাইরে ছিল না। সেই ক্রান্তিলগ্ন সময়ে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় মানুষের সেবায় কাজ করার ব্রত নিয়ে এগিয়ে এসেছিলো। বাংলাদেশের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে করোনা শনাক্ত পরীক্ষা এই যবিপ্রবিতেই শুরু হয়।
করোনার ভয়ানক ‘ওমিক্রম ভেরিয়েন্ট’ এর প্রথম জিনোম সিকুয়েন্সিং করে সে সময় সারা ফেলে দিয়েছিল যবিপ্রবি। শুধু তাই নয় করোনা শনাক্তের নতুন পদ্ধতি ‘সাইবারগ্রিন’ পদ্ধতিও অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের গবেষক দল আবিষ্কার করেছিল। বর্তমান উপাচার্য দায়িত্ব নেওয়ার পরে গবেষণাকে তিনি বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন এবং এর ফলস্বরূপ সব ক্ষেত্রেই অভূতপূর্ব উন্নতি করেছে যবিপ্রবি।
এখানে এমন কিছু ল্যাব রয়েছে যা বিশ্বমানের। জিনোম সেন্টার, সিএসআইআরএল ল্যাব, নেম ল্যাবসহ প্রতিটি বিভাগে আধুনিক এবং উন্নত মানের ল্যাব রয়েছে। যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা হাতে কলমে কাজ শেখার মধ্য দিয়ে জ্ঞান অর্জন করছে। এছাড়াও বিএসএল লেভেল ৩ মানের একটি ল্যাব প্রতিষ্ঠার কাজও চলছে।
যে যবিপ্রবিকে আগে তেমন কেউ চিনতো না আজ সেই যবিপ্রবি তার গবেষণা ও আবিষ্কার দিয়ে নিজেকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। যা একটি নবীন বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার। বিশ্বের সেরা ২ শতাংশ গবেষক এর তালিকায় যবিপ্রবির তিন শিক্ষক রয়েছেন।