images

অন্যান্য / ধর্ম

কোটার অর্ধেক হজযাত্রী থাকলেই হজে পাঠাতে পারবে এজেন্সি

রোববার, ২৮ জানুয়ারি ২০২৪ , ০৫:৪০ পিএম

images

সম্প্রতি বাংলাদেশের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে সরাসরি হজযাত্রী পাঠাতে কোটা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি আরব। সিদ্ধান্তে সর্বনিম্ন কোটা ৫০০ থেকে ২৫০ জন করা হয়েছে। অর্থাৎ এজেন্সিগুলোর ২৫০ জন হজযাত্রী থাকলেই তাদেরকে সরাসরি হজে পাঠাতে পারবে।

শনিবার (২৭ জানুয়ারি) হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) এবং এজেন্সিগুলোকে এ খবর জানিয়েছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

চিঠিতে মন্ত্রণালয় জানায়, ২০২৪ সালের হজের জন্য বাংলাদেশসহ সব দেশের হজ এজেন্সির সর্বনিম্ন কোটা প্রথমে ২০০০ জন এবং পরে ৫০০ জন নির্ধারণ করে পত্র পাঠায় সৌদি আরব। তবে সর্বনিম্ন কোটা ৫০০ জনের পরিবর্তে পূর্বের ন্যায় সব এজেন্সিকে হজযাত্রী প্রেরণের সুযোগ দেওয়ার জন্য জেদ্দাকে অনুরোধ করে ঢাকা। ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার গত ২৪ জানুয়ারি সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের ভাইস মিনিস্টার আবদুল ফাত্তাহ সুলেমান মাশাত এবং হজ অ্যাফেয়ার্স অফিসের মহাপরিচালক ড. বদর আলসোলামির সঙ্গে টেলিফোনে কোটার বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য অনুরোধ জানান।

অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের ভাইস মিনিস্টারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের হজ এজেন্সির সর্বনিম্ন কোটা ৫০০ জনের পরিবর্তে ২৫০ জন নির্ধারণ করে বার্তা পাঠানো হয়। 

মন্ত্রণালয় জানায়, বাংলাদেশের এজেন্সিগুলো ২৫০ জন হজযাত্রী থাকলে সরাসরি সৌদি আরবে পাঠাতে পারবে। তবে যেসব এজেন্সির হজযাত্রীর সংখ্যা ২৫০ জনের কম। তাদেরকে অন্য এজেন্সির সঙ্গে সমন্বয় করে লিড এজেন্সি নির্ধারণ করে হজযাত্রী হজে পাঠাতে হবে।

এদিকে, নিবন্ধনের সময় তিন দফা বাড়িয়েও চলতি বছর হজে যেতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের তেমন সাড়া পাওয়া যায়নি। ফলে কোটার ৫৮ শতাংশ অর্থাৎ ৭৪ হাজার ৮৩ জনের আসন খালি রেখেই হজ নিবন্ধন শেষ করেছে সরকার।

উল্লেখ্য, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছরের ১৬ জুন (১৪৪৫ হিজরি সনের ৯ জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে এবারের হজ নিবন্ধন শুরু হয়। সময়সীমা ছিল গত ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। পরে হজ নিবন্ধনের সময় ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এরপর দ্বিতীয় দফায় ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত নিবন্ধনের সময় বাড়ায় ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।