রোববার, ৩০ জুন ২০২৪ , ১১:২১ পিএম
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অর্জিত বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে জঙ্গির তকমা দিতে চেয়েছিল উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠি। বাংলাদেশ পুলিশের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে জঙ্গিবাদ আজ নির্মূল হয়েছে।
আজ সেই ভয়াল বিভীষিকাময় রাত্রি। আমি সেসময় এডিসি গুলশান হিসেবে কর্মরত। ২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলায় বীরের মতো সামনে থেকে লড়ে শাহাদত বরণ করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থী বিসিএস ৩০ ব্যাচের পুলিশ ক্যাডারের রবিউল ইসলাম, বনানী থানার তৎকালীন ওসি সালাউদ্দিনসহ অনেক বিদেশি নাগরিক।
জঙ্গি হামলার খবর পেয়ে গুলশান জোনের তৎকালীন ডিসি মোস্তাক আহমেদসহ (বর্তমানে ডিআইজি) পুলিশ বিভাগের কিছু অফিসার ও ফোর্স নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। এই হামলা প্রতিরোধে আমি গুরুতরভাবে আহত হই। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জঙ্গিদের প্রতিরোধ করতে গিয়ে গ্রেনেড হামলার শিকার হই। এখনও শরীরে স্প্লিন্টার বয়ে বেড়াচ্ছি এবং দীর্ঘদিন দেশ-বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে মোটামুটি সুস্থতার সঙ্গে বর্তমানে ডিসি ডিবি, ডিএমপি হিসেবে কর্মরত আছি।
সম্প্রতি পুলিশ সুপার (এসপি) পাবনা হিসেবে পদায়ন হলো। শিগগিরই নতুন কর্মস্থলে যোগদান করব, ইনশাল্লাহ। দোয়া করবেন, যাতে আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে পারি ও বাংলাদেশ পুলিশের ভাবমূর্তি সম্মুন্নত রাখতে পারি।
গুলশান হলি আর্টিজান বেকারিতে বর্বরোচিত জঙ্গি হামলায় নিহত শহিদ রবিউল ও ওসি সালাউদ্দিনসহ সবার আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি এবং গ্রেনেডের স্প্লিন্টারের আঘাতে আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।
এই বর্বরোচিত হামলা থেকে যারা বেঁচে গেছেন, তাদের জন্য মহান সৃষ্টিকর্তার প্রতি শুকরিয়া আদায় করছি। বাংলাদেশ পুলিশ জঙ্গিবাদ দমনে সফল। স্যালুট, বাংলাদেশ পুলিশ।
লেখক : পুলিশ সুপার, পাবনা