images

অর্থনীতি / অন্যান্য

‘রডের দাম ৫ হাজার টাকা কমানো সম্ভব’

শনিবার, ০৭ এপ্রিল ২০১৮ , ১২:৪৫ পিএম

images

রডের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির কারণে নির্মাণ শিল্পে স্থবিরতা তৈরি হয়েছে এমন দাবি নির্মাণ শিল্প সংশ্লিষ্টদের। দাম বৃদ্ধির পক্ষে প্রস্তুতকারকদের দেয়া যুক্তির সঙ্গে একমত নয়, ঠিকাদার ও নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন বিএসিআই।

এদিকে রড প্রস্তুতকারীদের দাবি আন্তর্জাতিক বাজারে রডের কাঁচা মালের দামসহ উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় এ অবস্থা তৈরি হয়েছে। যা আরও বাড়তে পারে বলেও জানান তারা।    

নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রড। টিএমটি ফাইভ হান্ড্রেড ডব্লিউ, গ্রেড সিকস্তি ও ফরটি দেশে এই তিন ধরণের রড তৈরি হয়। মান ভালো হওয়ায় দেশে সিকস্তি গ্রেডের রডের চাহিদাই বেশি। কিন্তু সম্প্রতি রডের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধিতে নির্মাণ শিল্পে তৈরি হয়েছে অস্থিরতা।

--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন :জনগণের টাকা নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন ব্যাংক মালিকরা!
--------------------------------------------------------

গত বছরের জুন মাসে সিকস্তি গ্রেডের রডের দাম ছিল টনপ্রতি ৪৫ থেকে ৪৮ হাজার টাকা। এরপর অক্টোবরে যা বেড়ে হয় ৫৫ থেকে ৫৬ হাজার। এই ধারাবাহিকতায় এ বছরের ২০ মার্চ বেড়ে হয় ৬৫ থেকে ৬৬ হাজার এবং এর এক সপ্তাহ পর (২৭ মার্চ) তা আরও বেড়ে হয় ৭১ হাজার টাকা।

এদিকে, সরকারের চাপে রড প্রস্তুতকারীদের তিন সংগঠনের পক্ষ থেকে তিন হাজার টাকা দাম কমানোর ঘোষণা করা হলেও একটি বাদে বাকি কোম্পানিগুলো এখনও তা কার্যকর করেনি। রড প্রস্তুতকারী সংগঠন বলছে, বাধ্য হয়েই তারা রডের দাম বাড়িয়েছেন।

তবে এমন বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন  ঠিকাদার ও নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন বিএসিআই ও রিহ্যাব সভাপতি ।

অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধির কারণে সরকারি উন্নয়নমূলক কাজসহ নির্মাণ শিল্পে স্থবিরতা ও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে বলে জানালেন তারা।

এদিকে, রডের দাম কমাতে রডের কাঁচামাল স্ক্র্যাপের আমদানিশুল্ক প্রত্যাহার, কেমিক্যালের ওপর কর প্রত্যাহার, ব্যাংক সুদ কমানো ও সড়কে এক্সেল লোড আদেশ শিথিলসহ সরকার কিছু পদক্ষেপ নিলে পাঁচ হাজার টাকা দাম কমানো সম্ভব বলে জানান  রড প্রস্ততকারকদের সংগঠনের নেতা মনোয়ার হোসেন।

আরও পড়ুন : 

এসআর