শনিবার, ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ , ০৮:৪৭ এএম
আজ শনিবার থেকে কড়া নজরদারিতে এসএসসি (মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট) ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। দেশের তিন হাজার ৪৯৭টি কেন্দ্রে ২১ লাখ ৩৫ হাজার ৩৩৩ শিক্ষার্থী এ পরীক্ষা অংশ নিচ্ছেন।
প্রথম দিন সকাল ১০টা থেকে এসএসসিতে বাংলা (আবশ্যিক) প্রথম পত্র, সহজ বাংলা প্রথম পত্র এবং বাংলা ভাষা ও বাংলাদেশের সংস্কৃতি প্রথম পত্রের পরীক্ষা হবে।
আর দাখিলে কুরআন মাজিদ ও তাজবিদ এবং এসএসসি ভোকেশনালে বাংলা-২ (১৯২১) (সৃজনশীল) (নতুন সিলেবাস/পুরাতন সিলেবাস) ও দাখিল ভোকেশনালে বাংলা-২ (১৭২১) (নতুন সিলেবাস/পুরাতন সিলেবাস) বিষয়ের পরীক্ষা হবে।
এবার পরীক্ষায় অংশ নিতে যাওয়া মোট শিক্ষার্থীর মধ্যে ১০ লাখ ৬৪ হাজার ৮৯২ জন ছাত্রী, ১০ লাখ ৭০ হাজার ৪৪১ জন ছাত্র রয়েছেন। এ বছর ২৮ হাজার ৬৮২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন। এছাড়া বিদেশের আটটি কেন্দ্রে ৪৩৪ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন।
আট বোর্ডের অধীনে এসএসসিতে ১৭ লাখ ১০২ জন, কারিগরি বোর্ডের অধীনে দাখিলে তিন লাখ ১০ হাজার ১৭২ জন এবং কারিগরি বোর্ডের অধীনে এসএসসি ভোকেশনালে এক লাখ ২৫ হাজার ৫৯ জন শিক্ষার্থী মাধ্যমিকের চূড়ান্ত পরীক্ষায় বসছেন।
পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে প্রবেশ করে আসন গ্রহণ করতে হবে। অনিবার্য কারণে কোনো পরীক্ষার্থী এরপর (পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে) কেন্দ্রে এলে রেজিস্ট্রারে নাম, ক্রমিক নম্বর ও বিলম্বের কারণ উল্লেখ করতে হবে। বিলম্বে আসা পরীক্ষার্থীদের তালিকা প্রতিদিন কেন্দ্র সচিব সংশ্লিষ্ট বোর্ডকে অবহিত করবে। যা শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক পরিপত্রে জানিয়েছে।
এছাড়া পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে প্রশ্নের সেট কোড নির্ধারণ করা হবে। কেন্দ্র সচিব ছাড়া অন্য কেউ পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। তাকে ব্যবহার করতে হবে এমন একটি ফোন, যা দিয়ে ছবি তোলা বা ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায় না।
এবারও বাংলা দ্বিতীয় পত্র এবং ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র ছাড়া অন্য সব বিষয়ে সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা হবে। এছাড়া দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসিজনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীরা স্ক্রাইব (শ্রুতি লেখক) সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন। এ ধরনের প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় দেওয়া হবে।
এছাড়া অটিস্টিক ও ডাউন সিনড্রোম প্রতিবন্ধীরা অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময়ের পাশাপাশি শিক্ষক, অভিভাবক বা সাহায্যকারীর বিশেষ সহায়তায় পরীক্ষা দিতে পারবে।
এবারের এসএসসি, দাখিল ও সমমানের পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস হবে না বলে আশা প্রকাশ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে সমন্বয় করে প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। শিক্ষার্থী ও পরীক্ষার্থীদের গুজবে কান না দিতে তিনি আহবান জানিয়েছেন।
এমসি/ এমকে