রোববার, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১ , ০৩:২২ পিএম
সরকার কথা বলার স্বাধীনতাকে হরণ করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় এই অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, আমরা পাকিস্তান আমলে আইয়ুব খান দেখেছি, বাংলাদেশে এরশাদকে দেখেছি- কিছুদিন পর্যন্তু স্বৈরাচার গায়ের জোরে পুলিশি অ্যাকশন করে টিকে থাকতে পারে, বেশিদিন টিকে থাকতে পারে না। আমরা গতকাল খুলনাতে(বিএনপি দলীয় সাবেক মেয়রদের সমাবেশ) দেখলাম- আমাদের কথা বলার অধিকার, আমাদের সমাবেশ করার অধিকার সেই অধিকার করতে দেয়া হয়নি।
তিনি আরও বলেন, এভাবে আজকে সরকার গণতন্ত্রের গলা টিপে ধরেছে। আমরা বিশ্বাস করি, সকলে মিলে জনগণের ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে তুলে রুখে দাঁড়াবে। ইনশাল্লাহ এই ফ্যাসিস্ট সরকারের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করবে, জনগণের মালিকানা দেশের জনগণকে ফিরিয়ে দেবে-এই প্রত্যাশা আমরা করি।
খন্দকার মোশাররফ অভিযোগ করে বলেন, ক্ষমতাসীনরা প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে জিয়াউর রহমানের বীরোত্তম খেতাব কেড়ে নেওয়ার অপচেষ্টা করছে। এ খেতাব কারও দয়ায় জিয়াউর রহমানসহ মুক্তিযোদ্ধারা পাননি। সম্মুখযুদ্ধে যুদ্ধ করে তারা এই খেতার অর্জন করেছিলেন এবং এদেশের মানুষ তাদেরকে এই খেতাব দিয়েছে। এই খেতাব কেড়ে নেওয়ার অধিকার কারও নেই। জামুকা কেনো, বর্তমান সরকারও যদি চায় এই খেতাব কেড়ে নেওয়ার কারো কোনো অধিকার নেই।
জাতীয় প্রেসক্লাবের আকরাম খাঁ হলে জিয়া পরিষদের উদ্যোগে জিয়াউর রহমানের ‘বীর উত্তম’খেতাব বাতিলের অপচেষ্টার প্রতিবাদে এই আলোচনা সভা হয়।
জিয়া পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুস কুদ্দুসের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদের পরিচালনায় আলোচনা সভায় পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুল লতিফ মাসুম, বিএনপির অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, জিয়া পরিষদের অধ্যাপক লুতফর রহমান, অ্যাডভোকেট দেওয়ান মাহফুজুর রহমান ফরহাদ, জহির আলী, দেলোয়ার হোসেন, মহাসচিব অধ্যাপক এমতাজ হোসেন আবদুল্লাহিল মাসুদ, প্রকৌশলী রুহুল আলম, শহিদুল ইসলাম শহিদ, বিএনপি মহানগরের রবিউল ইসলাম, গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, মিলিমা ইসলাম বিশ্বাস প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
পি