images

রাজনীতি

বিচারের নামে ড. ইউনূসকে হয়রানি করা হচ্ছে: ব্যরিস্টার খোকন

বুধবার, ১২ জুন ২০২৪ , ০৮:৫৭ পিএম

images

বিচারের নামে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে হয়রানি করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন।

বুধবার (১২ জুন) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও র‌্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদের বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, বেনজীরকে নিয়ে র‌্যাব ও পুলিশকে পৃথক তদন্ত করা উচিত।

গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক কর্মচারীদের অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে করা মামলায় নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এর ফলে এ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো। বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেন আসামিদের অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

এদিকে ইউরোপিয়ান দুই প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ড. ইউনূস তার বিচার প্রক্রিয়া সম্পর্কে যা বলে বেড়াচ্ছেন সেটি অসত্য ও দেশের মানুষের জন্য অপমানজনক।

আনিসুল হক বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নকে অবহিত করা হয়েছে ড. মোহাম্মদ ইউনূস শ্রম অধিকার লঙ্ঘন করেছেন। দেশের নাগরিকদের যেভাবে বিচার হয় তার বিচার প্রক্রিয়াও ঠিক সেভাবেই হচ্ছে।

তিনি বলেন, ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন একটি মামলা করেছে। সে মামলার ব্যাপারে আমি বলেছি, মামলাটি আদালতে চলমান রয়েছে। আদালতে যে মামলা চলমান থাকে সে মামলা সম্পর্কে আইনমন্ত্রী কোনো কথা বলেন না, সে ব্যাপারটাও তাদের (ইউরোপিয়ান প্রতিনিধি দল) বলেছি। 

আইনমন্ত্রী বলেন, তার (ড. ইউনূস) বিরুদ্ধে ট্যাক্স না দেওয়ার মামলা রয়েছে। তার একটি মামলায় তিনি আপিল বিভাগ পর্যন্ত গিয়ে হারার পরে ট্যাক্স দিয়েছেন। অন্যান্য মামলা যেগুলো রয়েছে সেগুলোও ট্যাক্স না দেওয়ার মামলা।

এর আগে, ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ প্রাঙ্গণে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আদালতে শুনানি চলাকালে একজন নিরপরাধ নাগরিকের একটা লোহার খাঁচার ভেতরে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকার বিষয়টি অত্যন্ত অপমানজনক।

তিনি আরও বলেন, অনেক হয়রানির মধ্যে আছি। সেটারই অংশ, এটা চলতে থাকবে। আজকে সারাক্ষণ খাঁচার মধ্যে ছিলাম আমরা সবাই মিলে। যদিও আমাকে বলা হয়েছিল যে, আপনি থাকেন। আমি বললাম, সবাই যাচ্ছে, আমিও সঙ্গে থাকি। সারাক্ষণই খাঁচার ভেতরে ছিলাম।

ড. ইউনূস বলেন, শুনানি চলাকালে কাঠগড়ায় কেন দাঁড়িয়ে থাকতে হবে, আমি আগেও প্রশ্নটা তুলেছি, আবারও সবার জন্য তুলছি। এটা কি ন্যায্য হলো নাকি? আমার বিষয় না, যে কারও জন্য। আমি যতটুকু জানি, যতদিন আসামি অপরাধী প্রমাণিত না হচ্ছে, ততদিন তিনি নির্দোষ-নিরপরাধ।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৩০ মে গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। সংস্থাটির উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে মামলাটি করেন।