সোমবার, ০৫ মে ২০২৫ , ১২:০১ পিএম
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহর ওপর হামলার আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী তাকে হুমকি দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে দলটি।
রোববার (৪ মে) মধ্যরাতে এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব সালেহ উদ্দিন সিফাতের স্বাক্ষর করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআইবি) ফ্যাক্টচেক প্রতিষ্ঠান ‘বাংলাফ্যাক্ট’-এর জরিপ অনুযায়ী গত ৯ মাসে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে জড়িত ব্যক্তি ও পরিবারের ওপর ৩৬টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ৮৯ জন আহত এবং একজন শহীদ হয়েছেন। কিন্তু ওই হামলাকারীদের এবং জুলাই অভ্যুত্থানের ছাত্র-জনতার হত্যাকারীদের আইনের আওতায় আনতে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে তড়িৎ ও কার্যকর উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। এই ঘটনাগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের অপেশাদারত্ব এবং অবহেলার চিত্র ফুটে উঠেছে।
এ অবস্থায় এনসিপি মনে করে, জুলাই গণহত্যার দায়ে একটি ফ্যাসিবাদী দল হিসেবে আওয়ামী লীগের দলগত বিচার নিশ্চিতে গড়িমসি এবং কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে ব্যর্থতাই এ হামলার অন্যতম মূল কারণ।
এর আগে, রোববার সন্ধ্যায় গাজীপুর থেকে মাইক্রোবাসে ঢাকায় ফেরার পথে মহানগরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় হাসনাত আবদুল্লাহর গাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ধারালো অস্ত্র দিয়ে হাসনাতের গাড়িতে আঘাত করা হয়। গাড়ির গ্লাস ভেঙে গেছে। তার হাতের কুনইয়ে জখম হয়েছে। হামলার পর সন্ত্রাসীরা তার গাড়ির পেছনে দৌড়াতে থাকে। এক পর্যায়ে হাসনাত বোর্ডবাজার এলাকায় আইইউটির ভেতরে গিয়ে নিরাপদে আশ্রয় নেন। হামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তের মধ্যে আইইউটির সামনে শত শত ছাত্র জড়ো হন। এরই মধ্যে তিনি নিরাপদে ঢাকায় চলে যান। পরে সেখানে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। রাত ৯টার দিকে চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় মশাল মিছিল বের করেন সংগঠনের নেতাকর্মীরা। হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের দাবি জানান তারা।
আরটিভি/এফএ/এআর