images

রাজনীতি

জোবাইদা রহমানের নিরাপত্তায় থাকছে যেসব ব্যবস্থা

সোমবার, ০৫ মে ২০২৫ , ০৭:২৫ পিএম

images

প্রায় দেড় যুগ পর দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান। সব ঠিক থাকলে মঙ্গলবার (৬ মে) সকালে শাশুড়ি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেশে ফিরবেন তিনি। দেশে ফিরে জোবাইদা রাজধানীর ধানমন্ডিতে তার বাবার বাসায় উঠবেন বলে জানা গেছে।

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে তিনিসহ সফরসঙ্গী মিলে মোট ১৪ জন একসঙ্গে দেশে ফিরবেন। 

জুবাইদা রহমানের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ধানমন্ডির ‘মাহবুব ভবন’। যা সামনে রেখে ইতোমধ্যেই বাসার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে। জুবাইদার সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতেও বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুমন সাংবাদিকদের জানান, জুবাইদা রহমানের নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। বাড়ির চারপাশে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। দায়িত্বে থাকবেন সিএসএফ সদস্যরা, সঙ্গে থাকবেন পুলিশ সদস্যরাও।

তবে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে গিয়ে যেন এলাকাবাসীর কোনো ধরনের অসুবিধা না হয়, সে বিষয়ে কঠোরভাবে নির্দেশ দিয়েছেন। তার কথায়, নিরাপত্তার নামে মানুষকে বিরক্ত করা যাবে না- এটা স্পষ্ট নির্দেশ।

আতিকুর রহমান রুমন মাহবুব ভবনের পুরো কাজ-কর্ম তদারকি করছেন। 

তিনি বলেন, আপনি দেখতেই পারছেন মাহবুব ভবন এমনিতেই পরিপাটি একটি বাসা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। তারপরও আমাদের চেয়ারম্যান সাহেবের স্ত্রী জুবাইদা রহমানের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে বাসার ভেতরে এবং বাইরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঠিক করেছি। বাসার চারপাশে দেয়ালের উপরে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থার সঙ্গে জড়িত পুলিশ সদস্য ছাড়া বিএনপি চেয়ারপারসনের সিকিউরিটি ফোর্স (সিএসএফ) সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন।

এই বাসার চারপাশে দেয়াল রয়েছে। বাসার আঙিনায় সামনের দিকে রয়েছে ফুলের বাগান। আছে নিরাপত্তা কর্মীদের জন্য গার্ড রুম।

আতিকুর রহমান বলেন, বাসভবনের তিন দিকে বিভিন্ন জনের বাসা-অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন নিরাপত্তার নামে এমন কিছু করতে যেও না যাতে প্রতিবেশীদের কোনো অসুবিধা হয়, যাতে মানুষজনকে ডিস্টার্ভ না করা হয়। যেমন পেছনের দিকে দেয়ালের পাশে ওই ভবনের বারান্দাটা দেখছেন একেবারেই দেয়াল ঘেঁষে। উনারা (প্রতিবেশীরা) ১৭ বছর কিছু করেননি, এখনও তারা কিছু করবেন না। তাদের ডিস্টার্ভ করে আমাদের যেন আরাম করা না হয়। বুঝতেই পারছেন চেয়ারম্যান সাহেব যেমনটি চান এই বাসার পরিবারের সদস্যরা ঠিক সেটাই আমাদের বলেছেন। সব দিক বিবেচনায় রেখে আমরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, জুবাইদা রহমানের জন্য আলাদা গাড়ি ও তার নিরাপত্তার সঙ্গে নিয়োজিত সদস্যদেরও গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

গত ৩০ মে পুলিশের মহাপরিদর্শকের কাছে দেওয়া চিঠির বিষয়ে রুমন জানান, পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার নিরাপত্তায় থাকা নিয়োজিত কর্মকর্তারা ইতোমধ্যে এই বাসভবন দেখে করণীয় ঠিক করে গেছেন।

আরটিভি/এমএ